বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপুসহ ১৭২ জনের নাম উল্লেখ করে ২৩২ জনের বিরুদ্ধে মিছিলে গুলিবর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।
বগুড়া সদর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাামের ছেলে শাওন মিয়া গত বুধবার বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
শুনানী শেষে বিচারক সুকান্ত সাহা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আদালত থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বগুড়া পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মতিন সরকার, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম ডাবলু, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবদুল মান্নান আকন্দ, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতী আক্তার টুম্পা ও ফাহিমা জাহান, মোকামতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ, দেউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, পিরব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফিস মাহমুদ মিল্টন, আটমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, কিচক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী, বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চঞ্চল, মোহনা টিভির বগুড়া প্রতিনিধি আতিকুর রহমান আতিক, সাংবাদিক সোহেল আক্তার মিঠু, মারুফ রহমান মঞ্জু, অর্থ দাতা রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা পরিমল প্রসাদ রাজ, অর্থ যোগানদাতা গফুর হাজী, সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতা এরশাদ শেখ, মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী দিলারা আফরোজা ছায়া, নেতা ফিরোজ খান, যুবলীগ নেতা সেতু খন্দকার, শিবগঞ্জ পৌরসভার অফিস সহকারী মো. বদিউজ্জামান, শিবগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী আরেফিন হক আফতাব প্রমুখ।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৫ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল সাতমাথার দিকে অগ্রসর হয়। এসময় আন্দোলন দমনের জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেন। ১নং আসামি মজিবর রহমান মজনুর হুকুমে আসামি রাগেবুল আহসান রিপু, আমিনুল ইসলাম, আবদুল মান্নান আকন্দ ও সেলিম মাহমুদ হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি ছোঁড়েন।