২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৮:০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
‘ছাত্রদের নিত্য নতুন দাবি, সরকারের কি সমর্থন আছে, জানতে চায় রাজনৈতিক দলের নেতারা’
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৪
‘ছাত্রদের নিত্য নতুন দাবি, সরকারের কি সমর্থন আছে, জানতে চায় রাজনৈতিক দলের নেতারা’

ছাত্রদের নিত্য নতুন দাবি, সরকারের কি সমর্থন আছে, জানতে চায় রাজনৈতিক দলের নেতারা— সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি।এই খবরে বলা হয়েছে, কিছু বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নতুন নতুন দাবি হাজির করছে, আর এসব দাবি কোনও আলোচনা বা কথাবার্তা ছাড়াই আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা সরকারেও আছেন, তাই তাদের এসব দাবির প্রতি সরকারের সমর্থন আছে কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।


শুধু তাই নয়, কোনও কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে ‘অর্জন বিসর্জনে’ পরিণত হতে পারে বলেও মনে করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।


সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সংস্কারের জন্য সরকার ১০টা কমিশন গঠন করেছে। ৯০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন আসবে। কিন্তু কমিশনগুলোর কার্যকালীন সময়ের মধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন নতুন দাবি উপস্থাপন করছে।”


“তাদের দাবির সঙ্গে অন্তর্র্বতী সরকার বা কমিশনের দাবি এক কি না, তা আমরা জানি না। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই দাবিগুলো সংস্কারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন মহল থেকে নতুন নতুন ইস্যু সামনে নিয়ে আসায় গোটা সংস্কার এজেন্ডা এই মুহূর্তে অনেকটা পেছনে পড়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। সে কারণে তাদের তোলা ইস্যুর পেছনে সরকারের সম্মতি বা সমর্থন আছে কি না, এই প্রশ্ন জোরালোভাবে দেখা দিয়েছে।”


শেষ চার বিসিএসে ‘ছাত্রলীগ ক্যাডার’ খুঁজছে সরকার— সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, ‘ছাত্রলীগ ক্যাডার’ খুঁজতে শেষ চারটি বিসিএসের পুরো প্রক্রিয়া পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


বিশেষ করে রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় কোনও ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনকেই (পিএসসি)। তারা এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজও শুরু করেছে।


নতুন করে তথ্য যাচাইয়ের খবরে উৎকণ্ঠায় আছেন ৪৩তম বিসিএস টপকে যাওয়া দুই হাজার ৬৪ প্রার্থী। সর্বশেষ তিন বিসিএস, অর্থাৎ ৪৪ থেকে ৪৬তমের প্রিলিমিনারি, লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীদের মনেও ভর করেছে হতাশা।


এর বাইরে আরও ছয়টি বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আট ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। বিসিএসের সেই ব্যাচগুলো হলো– ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম।


এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন যে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা গত ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনামলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন বা এক হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সরিয়েছে। এর মাঝে এস আলম-ই নিয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার।


গভর্নর বলেন, এস আলমকে একাধিক ব্যাংক দখলে সহায়তা করেছিলো ডিজিএফআই।


“যেকোনও বৈশ্বিক মানদণ্ডে এটি সবচেয়ে বড় এবং সর্বোচ্চ ব্যাংক ডাকাতি। এই মাত্রায় ব্যাংক ডাকাতি অন্য কোথাও হয়নি। এখানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল এবং গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা [ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহীদের] মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটা হতে পারত না,” বলে মন্তব্য করেন ড. আহসান মনসুর।


বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।


দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

আ.লীগকে রাজনীতির বাইরে রাখতে রিট— দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের কিছু মিত্র দলকে রাজনীতির বাইরে রাখতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা। এছাড়া ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার আবেদনও জানিয়েছেন তারা।


এ বিষয়ে হাইকোর্টে দুটি পৃথক রিট আবেদন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ) ও হাসিবুল ইসলাম।


একটি রিটে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্র্বতীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।


আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য যে ১০টি দলকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য রিট করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে— জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।


শেয়ার করুন