চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘের (ইসকন) নেতা ও সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ প্রভু ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার ও তার জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সনাতনী সম্প্রদায়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সাইফুল ইসলামের গায়েবানা জানাজা পড়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব লোহাগাড়া সাতকানিয়া উপজেলা’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হন।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সোয়া ১০টার দিকে তারা সেখানে গায়েবানা জানাজা পড়েন। জানাজা শেষে ভিসি চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় তারা বলেন, যারাই মসজিদে, মন্দিরে হামলা করে অপবাদ চালাবে, যারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়, তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির উদ্দিন রিয়ন বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর সোমবার তারা সারা বাংলাদেশের আনাচকানাচে তাণ্ডব চালিয়েছে। আর আজ তারা চট্টগ্রামে মসজিদে হামলা করেছে। তারা আইনজীবীকে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেইমানি করে কেউ যদি এ দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়, মুজিববাদ কায়েম করতে চায়, এই দেশের ছাত্র–জনতা তাদের অস্তিত্ব রাখবে না। অবিলম্বে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির বলেন, ‘এ দেশে কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইলে তাদের বিষদাঁত আমরা ভেঙে ফেলব। তাদের আমরা এই দেশ থেকে বিতাড়িত করব।’
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুল হক চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; বাংলাদেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে; কারা ইসকনকে টাকা দেয়, সেটার উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং এসব বিষয়ে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।