ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরো ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আরও ১৭৪ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় নিহতসহ গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ২০৬ জনে পৌঁছেছে। নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৭ হাজার ৫১২ জন আহত হয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর ইসরাইল গাজা উপত্যকায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ওঠা একটি প্রস্তাব বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের অব্যাহত নিন্দার পরও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
মিশরীয় নিরাপত্তা সূত্র এবং হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে মীমাংসা প্রতিরোধে মূল বিষয়গুলোতে এখনো বড় ফাঁক রয়ে গেছে। তবে জিম্মিদের মুক্তির আলোচনায় অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষ করে গাজায় শীত শুরু হওয়ায় মানবিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সতর্ক করে বলেছে, গাজার ৯৬ শতাংশ নারী ও শিশু অভাবের কারণে তাদের মৌলিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।
ইউনিসেফের মুখপাত্র রোজালিয়া বোলেন বলেছেন, নভেম্বরে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৬৫ ট্রাক সাহায্য গাজায় প্রবেশ করেছে - এটি সংঘাত শুরু হওয়ার আগে প্রতিদিন ৫০০টি ট্রাকের চেয়ে নাটকীয়ভাবে কম।
যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার জন্য জরুরী প্রয়োজন ক্রমবর্ধমান চাপ হয়ে উঠছে।