২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৬:১৬:২৮ অপরাহ্ন
বাগমারায় মাদারীগঞ্জ হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২২
বাগমারায় মাদারীগঞ্জ হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারায় গনিপুর ইউনিয়নের হাসনিপুর (মাদারীগঞ্জ) হাটের টোল বা খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে ক্রেতা, বিক্রেতা ও ইজাদারদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।

টোল বা খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে যে কোন সময় ইজারাদার ও ক্রেতা, বিক্রেতাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকার সচেতন মানুষ। ইজারাদারদের দৌরাত্ম থামাতে না পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বনিক সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারী নীতিমালা লংঘন করে হাসনিপুর হাটের ইজারাদাগন জোরপূর্বক হাটে জিনিসপত্র নিয়ে আসা মানুষদের কাছ থেকে টোল আদায় করছেন। সরকারী নীতিমালাতে হাটের কাঁচা বাজারে ইজারাদার এক পক্ষের কাছ থেকে টোল আদায় করতে পারবেন।

অথচ ইজারাদারগন তাদের নিয়োগকৃত লোকদের দিয়ে ক্রেতা, বিক্রেতা দুই পক্ষের কাছ থেকে টোল বা খাজনা আদায় করছেন। খাজনা আদায়কে কেন্দ্র প্রায় হাটের দিনে ক্রেতা, বিক্রেতা ও ইজারাদারগনের লোকজনের সাথে একাধিকবার ধাক্কা, ধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে।

অপর দিকে সাব ইজারাদারের অত্যচারে অতিষ্ট হাটে আসা সাধারন মানুষ। সাব ইজারাদার আব্দুল মতিন মটরসাইকেল থেকে শুরু করে বাজার যে কোন ধরনের যানবাহন আসলেই তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টোল বা খাজনা আদায়ের নামে করা হয় চাঁদাবাজি।

ভ্যান, অটোভ্যান, ভুটভুটি ও পিকআপ চালকেরাও অতিষ্ট সাব ইজারাদার আব্দুল মতিনের কর্মকান্ডে। এমন অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার বনিক সমিতির সদস্যরা বসেও কোন সমাধান করতে পারেনি। নিরুপায় হয়ে বনিক সমিতির সভাপতি বোরহান উদ্দীন ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪৮ জন্য ব্যবসায়ী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করেছেন।

হাসনিপুর ((মাদারীগঞ্জ) হাটের ববনিক সমিতির সভাপতি বোরহান উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, সরকারী নীতিমালা লংঘন করে তারা অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক টোল বা খাজনা আদায় করছে। খাজনা আদায়কে কেন্দ্র ক্রেতা, বিক্রেতাদের সাথে ইজারাদারদের একাধিকবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে হাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যে কোন সময় হাটটি ভেঙ্গে গেলে সরকারও লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাবে বলে আমরা মনে করছি।

অভিযুক্ত হাট ইজারাদার আব্দুল মতিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়াও সরকারী খাজনা আদায়ের চাটটি প্রতিটি বাজারে টাঙ্গিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন