বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চল আগে মরুভুমি ছিলো যেখানে একটা ফসল ফলাতে অনেক কষ্ট করতে হত, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফলে এখন তিন ফসল হচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও চার ফসলও হচ্ছে, এতে কৃষক লাভের মুখ দেখতে পারছে । কিন্তু কয়েক বছর থেকে দেখা যাচ্ছে গোদাগাড়ী, তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাচোল, গোমস্তাপুর, নিয়ামতপুর, সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে । সেই জন্য বিভিন্ন দেশী-বিদেশী গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে এ সকল এলাকায় টেকসই সেচ ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
বুধবার (১৫জানুয়ারি) রাজশাহীতে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষি, সেচ ও সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ক বিএমডিএর আয়োজনে হল রুমে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ৮টি উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর, উপ-পরিচালক কৃষি, বিএডিসি, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট, পানি সম্পদ পরিকল্পনা, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার সহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে শস্য বিন্যাসের মাধ্যমে এখন থেকে কম পানি লাগে এমন ফসল আবাদের দিকে আমাদের যেতে হবে যেমন: গম, ভ্ট্টুা, মসুর ডাল, পেঁয়াজসহ অনান্য ফসল আবাদ করতে হবে। তাহলে পানির যে সমস্যা এই আট উপজেলায় তা অল্প সময়ে সমাধান হয়ে যাবে। এখানে আপনারা যারা উপস্থিত আছেন তারা এই কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট তাই আমাদের সকলকে একত্র হয়ে পানি সংকট নিরশনে কাজ করতে হবে। এই আটটি উপজেলা ছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্য কোন জেলা বা উপজেলায় পানি সমস্যা নাই। তাই আমাদের সকলকে এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামের(অতিরিক্ত সচিব) সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) ড. মোত্তালেব হোসেন, রাজশাহী রুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. নিয়ামুল বারী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রোনোমী এন্ড এক্রটেনশন বিভাগ এর প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম। এসময় বরেন্দ্র অঞ্চলের সমস্যা নিরসের জন্য উপস্থিত কর্মকর্তাগন বিভিন্ন পরামর্শ দেন ।
আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান। এরপর বরেন্দ্র অঞ্চলের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরেন নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ড. মোখলেসুর রহমান মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. নুর-এ-আলম সিদ্দিকী প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মনিরুজ্জামান অতি: কৃষি অফিসার নওগাঁ, কে.এম. গোলাম সরওয়ার উপ-পরিচালক বিএডিসি রাজাশাহী, অতি: প্রধান প্রকৌশলী ড. আবুল কাসেম, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী জনাব সমসের আলীসহ কৃষি অধিদপ্তর, উপ-পরিচালক কৃষি, বিএডিসি, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট, পানি সম্পদ পরিকল্পনা, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার , অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী বিএমডিএ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহ মোট ৬০জন মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।