৩০ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৮:০১:৩৬ অপরাহ্ন
রাজশাহী কলেজ ইউনিট বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৫
রাজশাহী কলেজ ইউনিট বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ ইউনিট কর্তৃক "বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কার: আমাদের প্রত্যাশা" শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


বুধবার (২৯ জানুয়ারি)  সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়। 


উক্ত কর্মশালার উদ্দোধনী করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ যহুর আলী।



 এই সময় উপস্থিত ছিলেন নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ  প্রফেসর ড. কালাচাঁদ শীল, রাজশাহী  কলেজের উপাধ্যক্ষ ড প্রফেসর মোঃ ইব্রাহিম আলী, শহীদ বুদ্ধিজীবি কলেজের প্রফেসর ড. খান মুহাম্মদ মাইনুল হক,সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড.বিশ্বজিৎ বেনার্জি। 


এছাড়াও রাজশাহীতে অবস্থিত সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রত্যেক কলেজের বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক সহ শিক্ষকমন্ডলী এবং প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।



স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ ইউনিট এর সম্পাদক ড. শাহ্ মোঃ মাহবুব আলম। 


 মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মোছাঃ জামিলা খাতুন।



এই সময় বক্তারা জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল প্রশাসনের দাবি জানান। 


এছাড়াও বক্তারা বলেন,  শিক্ষকদের সম্মান, বেতন, প্রশিক্ষণ সুবিধা, বাজেটে শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বাজেট না দিলে শিক্ষা সেক্টরে কোনদিনও উন্নয়ন হবে না। 



বক্তব্য শেষে অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ যহুর আলী কর্মশালার উদ্ধোধনী ঘোষনা করেন। কর্মশালা শেষে ছাত্ররা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কারে ও জনকল্যাণমুলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ দেন। তার ভেতর উল্লেখযোগ্য-


 মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদেরকে প্রদান করতে হবে।


 চাকুরির আগে কিম্বা পরে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর সাথে সাংঘার্ষিক সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাভিত্তিক সিভিল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


 সমস্ত পেশার বৈষম্য দূর করে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।


প্রত্যেক সেক্টরে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করবে অথবা স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।


কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে সকল পেশায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ এবং গ্রেড তৈরি করতে হবে।


আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সেক্টরের জনবল দ্বারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।


মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর সংশ্লিষ্ট সভাসমূহ আয়োজন, নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকে প্রদান করতে হবে।


যেকোন অফিস আদেশ হবে সার্বজনীন, যা একই গ্রেডের সকল কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হতে হবে।


 রাষ্ট্রের সকল সেক্টরের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের তফসিলভুক্ত পদ থেকে অন্য ক্যাডারের অদক্ষ ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা।

শেয়ার করুন