২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার, ০৫:০৩:২৪ অপরাহ্ন
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান হতে পারে এই সপ্তাহে: হোয়াইট হাউস
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০২-২০২৫
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান হতে পারে এই সপ্তাহে: হোয়াইট হাউস

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধের তিন বছর পূর্তি আজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে সোচ্চার ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এ বিষয়ে তিনি জোরালো তৎপরতা শুরু করেছেন এবং হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের অবসান ‘এই সপ্তাহেই’ হতে পারে।


রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।


শনিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি আলোচনার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ এই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।


কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স (সিপিএসি) থেকে ফিরে সাউথ লনে সাংবাদিকদের লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দল এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই যুদ্ধের উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর খুব বেশি মনোযোগী এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও খুব আত্মবিশ্বাসী যে— আমরা এই সপ্তাহে এটি সম্পন্ন করতে পারবো।


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আর ‘কোনও অপশন নেই’  এবং আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনা থেকে তাকে বাদ দেওয়া উচিত বলে ট্রাম্প দাবি করার পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারির কাছ থেকে এই মন্তব্য এসেছে।


লেভিট বলেছেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট ওয়াল্টজ এই সপ্তাহান্তে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ‘দিন-রাত’ কাজ করবেন এবং উল্লেখ করেছেন, অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট নিজেও খনিজ ব্যবহার সংক্রান্ত ইউক্রেনের সাথে একটি প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।


ক্যারোলিন লেভিট আরও বলেন, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ এসব খনিজ পদার্থ প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমেরিকান ট্যাক্স ডলার ফিরিয়ে আনবে।


এদিকে ইউক্রেন শিগগিরই খনিজ চুক্তি মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন খুব দ্রুতই তাদের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ করার বিষয়ে একটি প্রস্তাবিত চুক্তি গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা করেন।


এমনকি এই বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা তহবিলের কিছু ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে পারবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গত শনিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সম্ভাব্য চুক্তি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমরা আশা করছি পরবর্তী স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করব, এর ফলে আমরা ৪০ বা ৫০ হাজার কোটি ডলার ফিরে পাবো বলে আমাদের নিশ্চিত করবে।


তিনি বলেন, এটি একটি বড় চুক্তি, তবে তারা (ইউক্রেনীয়রা) এটি চায় এবং এই চুক্তি আমাদের সেই দেশে উপস্থিত রাখবে। আমরা আমাদের অর্থ ফেরত পাবো। এটি আমাদের প্রস্তাব করার অনেক আগেই স্বাক্ষরিত হওয়া উচিত ছিল।


শেয়ার করুন