চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাগরে ড্রেজারডুবিতে নিহত আট শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বশর হাওলাদারের (৩৫) মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মিরসরাই থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সর্বশেষ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিখোঁজ আট শ্রমিকেরই মরদেহ উদ্ধার হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রথম উদ্ধার করা হয় রহমান ফকিরের ছেলে মো. আল আমিন ফকিরের মরদেহ। পর দিন বুধবার সকালে একসঙ্গে উদ্ধার হয় আনিস মোল্লার ছেলে ইমাম হোসেন মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মাহমুদ মোল্লা ও সেকান্দার বারীর ছেলে মো. জাহিদ বারীর মরদেহ। একই দিন রাত ১১টায় নুরু সরদারের ছেলে আলম সরদারের মরদেহ উদ্ধার হয়।
এর পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে উদ্ধার হয় আনিস মোল্লার আরেক ছেলে শাহিন মোল্লা, রহমান খানের ছেলে তারেক মোল্লা ও সবশেষ ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওলাদারের মরদেহ।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ড্রেজারডুবিতে নিখোঁজ আট শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ১০টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে সাগরে ড্রেজারডুবিতে নিখোঁজ সব শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর মরদেহগুলো উদ্ধার হয়েছে। এরই মধ্যে আগে উদ্ধার হওয়া চারজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি চারজনের মরদেহও হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত সোমবার রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে ওই আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠী গ্রামে।