ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের তিনজন নায়ক বেছে নিলে শ্রেয়াস আইয়ার হবেন একজন। অথচ জাতীয় দলের আশেপাশেই থাকার কথা ছিল না তার। বিদ্রোহী হয়েছিলেন। কথা শোনেননি। শাস্তিও পেয়েছিলেন বড়সড়। কেন্দ্রীয় চুক্তিতেই শ্রেয়াসকে রাখেনি ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। তিনিই করেছেন বাজিমাত।
ট্রফির মিশনে ভারতকে মিডলে দিয়েছেন স্বস্তি। নিজেও জায়গা পাঁকা করেছেন শ্রেয়াস। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর তাকে বিবেচনায় নেয়নি বোর্ড। চোটও চোখরাঙানি দিচ্ছিল। তবে রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। জায়গা করে নেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। দাপুটে ফর্মও দেখান। ৬ ম্যাচে ২ ফিফটিতে করেন ২৪১ রান। শেষের দিকে ভারতকে দেখান পথ।
বাদ পড়া থেকে নায়ক হয়ে ফিরে আসার সেই গল্প টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে শুনিয়েছেন শ্রেয়াস। ভারতের মিডলের ভরসা হয়ে ওঠা তারকা বলেছেন, ‘(চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সাদা ব্লেজার পরতে পারা) অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক। সত্যি বলতে, এটা অন্যরকম এক যাত্রা ছিল। যেখানে ২০২৩ বিশ্বকাপের পর কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার মতো ঘটনা ছিল। জীবনের এই পর্যায়ে এসে অনেক কিছু শিখেছি। কোথায় ভুল করেছি, সেটা পুনরায় মূল্যায়ন করেছি। কি করা উচিত, ফিটনেসে কেমন মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, নিজেকে এসব প্রশ্ন করেছি। একটি রুটিন তৈরি করে অনুশীলনে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি স্কিল বাড়ানোর কাজ করেছি।’
লম্বা সাক্ষাৎকারে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেছেন শ্রেয়াস। ক্ষোভ ঝেড়েছেন আইপিএল নিয়েও । কলকাতা নাইট রাইডার্সের ধরে না রাখা এবং জাতীয় দলে জায়গা না পাওয়ার সময়টা কঠিন ছিল তাঁর কাছে। সেই সময়ে তাঁর কী ভুল ছিল, তা বোঝার চেষ্টা করেন।
শ্রেয়স বলেন, ‘খারাপ সময়েও বিরক্ত হইনি। ওই মুহূর্তে আইপিএল খেলছিলাম। ট্রফি জেতাই মূল লক্ষ্য ছিল এবং সেটা করে দেখিয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, আইপিএল জিতলেও প্রাপ্য সম্মানটা পাইনি। তবে নিজের উপর বিশ্বাস রাখা এবং কেউ নজর না রাখলেও কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়াটা প্রয়োজন। সেটাই করেছি।’
কেকেআর থেকে চলে যাওয়া শ্রেয়াস এবার আইপিএল মাতাবেন পাঞ্চাব কিংসের হয়ে। এ মাসেই শুরু হচ্ছে কুড়ি কুড়ির খেলা।