২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ০৯:৪৪:২৩ অপরাহ্ন
ইরানি ড্রোন ইউনিটের প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৬-২০২৫
ইরানি ড্রোন ইউনিটের প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বিমান ও ড্রোন ইউনিটের প্রধানকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এক সপ্তাহ আগেই তার পূর্বসূরিকেও একইভাবে হত্যা করেছিল তারা।


আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত এই কমান্ডার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত শত ড্রোন হামলার নকশা ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইরানের সামরিক কাঠামোর ওপর বড় ধরনের আঘাত। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।


এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ইসফাহানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসফাহানে রয়েছে ইরানের অন্যতম প্রধান পারমাণবিক গবেষণা ও সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। বিস্ফোরণের সঠিক উৎস নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এটি ইসরায়েলের ড্রোন বা বিমান হামলা হতে পারে।


ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের ঘাজার শহরে ড্রোন সন্দেহে সাইরেন বাজানো হয়েছে। হোম ফ্রন্ট কমান্ড স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে সম্ভাব্য ড্রোন হামলার আশঙ্কায়।


এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মী মাহমুদ খালিলকে তিন মাস কারাভোগের পর মুক্তি দিয়েছে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র সাম্প্রতিক ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। খালিল অভিযোগ করেছেন, ‘আমি কোনো অপরাধী নই, একজন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী।’


তবে মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগ তার মুক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং অভ্যন্তরীণ ভ্রমণেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। তাকে ‘স্ব-নির্বাসনের’ শর্তে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে।


আইডিএফ আরও জানিয়েছে, ইরানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ ও উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোতে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য ইরানের সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করা।


এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই কূটনীতির আড়ালে ইসরায়েলের এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। জেনেভায় ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওরা আমাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। আর তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসা সম্ভব নয়।’


তিনি আবারও স্পষ্ট করে দেন, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে না। ‘মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফকে বহুবার বলেছি— সমৃদ্ধকরণ শূন্যে নামানো অসম্ভব।’


বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল কৌশলগত সমন্বয় এবং ইরানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকে আরও দুর্বল করছে। ইরান এখন নিজেকে ‘বিশ্বাসঘাতকতার শিকার’ হিসেবে তুলে ধরে সরাসরি প্রতিশোধ বা আরও সামরিক উত্তেজনার পথেই এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন