উত্তর ইরানে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রোববারের এ ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছে, যা স্থলভাগে কম্পন ও ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
রোববার (২০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অন্যদিকে একই দিনে তাজিকিস্তানে ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস)। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১৬০ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে ১৮ জুলাই তাজিকিস্তানে ১০ কিলোমিটার গভীরে ৩.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্বল্প গভীরতার কারণে এ ধরনের ভূমিকম্পের পর আফটারশক বা পরাঘাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। এছাড়া, পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি উৎপত্তিস্থল হলে কম্পনের তীব্রতা ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
পর্বতময় ভূপ্রকৃতি এবং বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর কারণে তাজিকিস্তান প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্প, বন্যা, খরা, তুষার ধস, ভূমিধস এবং কাদামাটির ধসের সম্মুখীন হয়। হিমবাহ-নির্ভর নদীর অববাহিকা, পাহাড়ি পরিবেশ এবং নদী তীরবর্তী এলাকা ভূমিধস ও ভূমি ক্ষয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।