০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ০৮:৫৩:০৭ অপরাহ্ন
জট সামলাতে জাহাজ কমাতে চায় বন্দর
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৮-২০২৫
জট সামলাতে জাহাজ কমাতে চায় বন্দর

দিন যত যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট বাড়ছে আর এতে হিমশিম অবস্থা বন্দর কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দরের পক্ষ থেকে অনুমোদিত কনটেইনারবাহী জাহাজের সংখ্যা ১৫টি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিপিং খাত-সংশ্লিষ্টরা তা মানতে নারাজ। তারা বলছেন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না বাড়িয়ে জাহাজ কমানো কোনো সমাধান নয়।


জাহাজের সংখ্যা কমলে ক্রমবর্ধমান আমদানি-রপ্তানির চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

জানা গেছে, বর্তমানে জেটিতে বার্থিংয়ের অপেক্ষায় ৯-১০ দিন পর্যন্ত কনটেইনার জাহাজ বহির্নোঙরে বসে থাকতে হচ্ছে। এতে শিপিং এজেন্টরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বন্দরের ভাবমূূর্তি নষ্ট হচ্ছে।


গত ২০ জুলাই বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে বন্দর কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত জাহাজের সংখ্যা ১৫টি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে এসব জাহাজের তালিকা জমা দিতে বলা হলেও অ্যাসোসিয়েশন এখনো পর্যন্ত রাজি হয়নি। উল্টো চিঠি পাঠিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বন্দর-সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহনের জন্য বর্তমানে অনুমোদিত জাহাজের সংখ্যা রয়েছে ১১৮টি।


২০২৫ সালের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল ৯৬। ওই সময় বহির্নোঙরে জাহাজের অবস্থানকাল ছিল ১-২ দিন এবং অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা ছিল ৭-৮টি। পরবর্তী সময় বিভিন্ন কারণে এডহক ভিত্তিতে কিছু জাহাজ চলাচলের অনুমোদন পাওয়ায় জাহাজের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮টি। এর ফলে জাহাজের জট বেড়ে গেছে। একদিকে বহির্নোঙরে জাহাজের অবস্থানকাল বাড়ছে, অন্যদিকে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যাও বাড়ছে।

জাহাজ সীমিত করার কারণ হিসেবে বন্দরের পক্ষ থেকে আরো বলা হচ্ছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ১৬টি জাহাজ একসঙ্গে বার্থিং করা যায়। ১০টি বার্থ কনটেইনার-জাহাজের জন্য বরাদ্দ থাকে। কিন্তু জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর কারণে এখন বার্থের চেয়ে বেশি জাহাজ আসছে। ফলে বন্দরের ওপর তৈরি হয়েছে এক ধরনের চাপ। বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া চিঠিতে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ১৫টি জাহাজ কমালে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টিইইউএস (২০ ফুট সমমান) কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, একেকটি জাহাজ আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ভাড়া করতে হয়। চাইলেই এক দিনে সেই চুক্তি বাতিল করা যায় না। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, এ-সংক্রান্ত কমিটি সহসাই তাদের কাজ শুরু করবে এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে উপনীত হবে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।


শেয়ার করুন