০৮ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০৮:২৯:১০ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়ায় জুয়েল সমর্থকদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপির বিক্ষোভ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১১-২০২৫
কুষ্টিয়ায় জুয়েল সমর্থকদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপির বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও একাধিক দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।


মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি দৌলতপুর বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।


তারা ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ‘ঐক্যবদ্ধ হও, গণতন্ত্র রক্ষা করো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর গুলশানে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষণায় কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নাম আসে। এ ঘোষণার পর বাচ্চু মোল্লার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করেন ও মিষ্টি বিতরণ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।


কিন্তু রাত গড়াতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। 

বিএনপির অভিযোগ, ওই রাতেই উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউর রহমান মাসুমের বাড়ির সামনে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি উপজেলার আরো তিনটি বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।


এ সময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়, ধানের শীষ প্রতীকসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এ হামলার পেছনে ছিলেন ঢাকা উত্তর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও কুষ্টিয়া-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী শরিফ উদ্দিন জুয়েলের সমর্থকরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রার্থী ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলে বিভাজন সৃষ্টি করা এবং এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা।


উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউর রহমান মাসুম বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পরিবার আতঙ্কে আছে কিন্তু এভাবে ভয় দেখিয়ে কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।


বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।


এদিকে, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রার্থী ঘোষণাকে ঘিরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলই এই সহিংসতার মূল কারণ।


শেয়ার করুন