২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ০৩:৩১:৫৩ পূর্বাহ্ন
২৪৩ স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ, কর্মবিরতিতে থাকা সব শিক্ষককে শোকজ
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১২-২০২৫
২৪৩ স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ, কর্মবিরতিতে থাকা সব শিক্ষককে শোকজ

তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের চলমান কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে নোয়াখালীর ২৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইশরাত নাসিমা হাবীব এসব প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষককে পৃথকভাবে নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও শিক্ষকরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা গ্রহণ করেননি। বরং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় বাধা সৃষ্টি এবং বিদ্যালয়ে তালা দেওয়ার মতো দায়িত্বহীন আচরণ করেছেন।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে এমন কার্যক্রম সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৮ এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। কেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শিক্ষক নেতা আব্দুর রহমান জানান, আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় নোয়াখালীর ৫০ জনের বেশি সহকারী শিক্ষককে প্রশাসনিক কারণে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। সর্বশেষ আদেশে ৪২ জন শিক্ষককে পাশের জেলায় পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী সদরের কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শামছুদ্দীন মাসুদও রয়েছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইশরাত নাসিমা হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নেওয়া এবং সরকারি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এ শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, তিন দফা দাবিতে দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ২৭ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। গত দুই দিন ধরে চলছে অনির্দিষ্টকালের কমপ্লিট শাটডাউন ও বিদ্যালয় তালাবদ্ধ রাখার কর্মসূচি।

শেয়ার করুন