প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তুলে ধরেছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে নথিভুক্ত দমন-পীড়ন ও গণহত্যার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দলটির জনপ্রিয়তা নিয়ে জরিপ পরিচালনা কতটা নৈতিক ও ন্যায়সঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের জরিপ কোনো নিরপেক্ষ গবেষণার অংশ নয়; বরং ধীরে ধীরে অপরাধমূলক ইতিহাস আড়াল করার চেষ্টা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দলটির বিরুদ্ধে থাকা দীর্ঘ দমন-পীড়নের দায় পুনর্বাসনের নয়, বরং জবাবদিহি দাবি করে।
শফিকুল আলম বলেন, বিএনপির শাসনামল নয়, বরং টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগই দেশে ভয়ভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছিল। বিরোধী রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা, হতাহত, সড়ক দখল এবং আগ্নেয়াস্ত্রের অবাধ উপস্থিতি– এসব ছিল সেই সময়ের স্বাভাবিক চিত্র। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কৌশল হিসেবে জনগণের ভয়কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদে সরকার শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারে– গণহত্যা দিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
শফিকুল আলম প্রশ্ন তোলেন, “জনপ্রিয়তা জরিপ কি ইতিহাস মুছে দিতে পারে? আজকে ১০ বা ২০ শতাংশ সমর্থন পাওয়া কি অর্থবহ?” তিনি মনে করিয়ে দেন, ফাইয়াজসহ আন্দোলনে নিহত তরুণদের স্মৃতি এখনও তাজা, এমন সময় এই ধরনের জরিপ শহীদদের প্রতি অবমাননার শামিল।
তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক জরিপের প্রয়োজন হতে পারে, তবে তার আগে চাই জবাবদিহি। আওয়ামী লীগকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে, নিজেদের অতীত স্বীকার করতে হবে এবং কোনো অজুহাত ছাড়াই সত্য প্রকাশ করতে হবে। জবাবদিহি ছাড়া স্বাভাবিকীকরণ সম্ভব নয়।

