নওগাঁয় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চাল দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেশি লাভের আশায় মিলারদের বিরুদ্ধে চালের বাজার অস্থির করার অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে মিলারদের দাবি, ধানের দাম বাড়াসহ সময় মতো মাড়াই না হওয়ার প্রভাব চালের বাজারে পড়েছে।
নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার ইতিমধ্যে মাঠ থেকে প্রায় শতভাগ ধান ঘরে উঠেছে। কিন্তু ধানের ভরা মৌসুম থাকলেও অস্থির চালের বাজার।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৩ টাকা ও চিকন চালের দাম ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
বাজারে চাল কিনতে এসে বিপাকে পড়া ক্রেতারা বলেন, আমাদের রোজগার কমে গেছে। চালের দাম অতিরিক্ত বেশি। সেই সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়তি। আমরা কীভাবে কিনে খাব। যে চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা বস্তা ছিল। এখন সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা বস্তা।
অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মিলাররা চাল মজুত করার কারণেই দর বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
নওগাঁ পৌর চাল বাজারে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মকবুল হোসেন বলেন, আমরা মনে হয়, প্রতিটি মিলেই হাজার হাজার খানেক চালের বস্তার মজুত রয়েছে। কিন্তু তারা দাম বাড়ানোর উদ্দেশে বাজারে সরবরাহ করছে না। আমরা চাল কম দামে কিনতেও পারছি না, কম দামে বিক্রি করতে পারছি না।
তবে মিলারদের দাবি, ধানের দর বেশি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাড়াইয়ে দেরি হওয়াই কারণ চালের দাম বেড়ে গেছে।
নওগাঁ অটোমেটিক রাইসমিলের সাধারণ সম্পাদক মো. তোফিকু. ইসলাম বাবু বলেন, যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, যে পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে না। ধানের মান মিলানো যাচ্ছে না। বাজারে ধান আসছে কম। ধানের ফলন কম হয়েছে। বৃষ্টিতে পড়ে গেছে, সব কাটাই মাড়াই করছে।
উল্লেখ্য, জেলায় ৫৬টি অটো ও ছোট বড় ৯৫০ হাসকিং মিল রয়েছে।