২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:৪২:২০ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনায় নির্বাচন হবে না : লিটন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-১১-২০২২
রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনায় নির্বাচন হবে না : লিটন

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্য শোভনিয় নয় বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন কি পদ্ধতিতে হবে, কিভাবে হবে সেটি সরকার, জনসাধারণ এবং নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। কোন রাষ্ট্রদূত নির্দেশনায় নির্বাচন হবে না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্যে মতামত দেয়া বা নির্দেশনা দেয়া এ ধরণের কার্যক্রম না করাই ভাল বলে আমি মনে করি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করছি বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন যা সোভনিয় নয়, বাঞ্চনিয় নয়, বলা উচিত নয়।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই বিএনরি নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারকে লাল কার্ড, হলুদ কার্ড দেখিয়ে আসছে। সে হিসেবে এতো দিন সরকার ক্ষমতায় থাকার কথা নয়। মূলত: তারা এ কথাগুলো রাজনীতির মাঠ গরম করার জন্য বলে। তাদের নেতাকর্মীদের মনবল চাঙ্গা করার জন্য বলে থাকে।

তিনি বলেন, আসলে আন্দোলন করে সরকার পতনের সেই সক্ষমতা বিএনপির নেই। থাকলে অনেক আগে তারা তা কার্যকরি করতে পারবেন। কিন্তু তাদের সেটি নেই। যাকে বল ফাঁকা কলসি বাজে বেশী সে রকম হয়েছে বিএনপির।

এর আগে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বৈঠকে রাজশাহীর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ নিয়ে আলোচনাসহ মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত বলে জানান মেয়র।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো আমরা ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দেই। সেগুলো সারা বিশ্বে টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ¦লানী ও জৈবসার তৈরি করা হয়। আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পাটনার শিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মেয়র বলেন, বাংলাদেশের জুুটমিল, সুগারমিল টেক্সটাইলমিল কন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চায়না সরকারের সাথে চুক্তি করে ইজারা ভিত্তিক দেয়ার মাধ্যমে নতুন করে পরিচালনা সুযোগ করা হয়। তিনি বলেছেন, চায়না প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার যতি প্রস্তাব দেয় তবে তারা তা গ্রহণ করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আমাদের বলেছেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্তিত ইপিজেডে চায়নার ৫টি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া আরও ৬টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী।

বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে চায়না সরকারের অবদান ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উভয় দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।

শেয়ার করুন