২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৫১:৩৮ অপরাহ্ন
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে “পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার”
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১১-২০২২
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে “পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার”

 গ্রীষ্ম শীত বর্ষা কিংবা শরৎ সব ঋতুতেই পদ্মা নদীকে ঘিরে মানুষের আনাগোনা। এরই পাশে তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচতলা ভবন বিশিষ্ট পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার।


মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিছু শিক্ষার্থী তালাইমারীতে গ্রন্থাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সে সময় এই কাজে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার বায়োজ্যেষ্ঠরা এগিয়ে আসেন। শিক্ষার্থীরা এলাকায় চাঁদা তুলে একত্রিতভাবে গ্রন্থাগারের জন্য জমি কেনেন, জমির ওপর ইটের গাঁথুনি দিয়ে তার উপর টিনের চালা দিয়ে প্রথম পথ চলা “পদ্মা পাঠাগারের “।


পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার”।



২০১৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০০ কোটি টাকার অনুদান পায় ভারত থেকে। ৮টি সিটি করপোরেশনকে ২৫ কোটি করে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয় ঐ চুক্তিতে। এ খবর পেয়ে গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সন্দীপ মিত্রের সঙ্গে কথা বলেন।


সন্দীপ মিত্রের পরামর্শে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনের কাছে সাড়ে ৪ কোটি টাকার তহবিল চেয়ে পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়। বরাদ্দ হয় তিন কোটির বেশি টাকা। এই টাকায় প্রায় ছয় কাঠা জমির ওপর পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।


এই বিষয়ে সাইদুর রহমান বলেন, এখানে বইয়ের সংখ্যা ৮৫০০। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইতিহাস, সাহিত্য, রচনাবলী, একাডেমিক ইত্যাদি ধরনের বই রয়েছে। পেপার পত্রিকার সংখ্যা ১৯ টি তার মধ্যে একটি ইংরেজি। অন্যগুলো বাংলা, জাতীয় ও লোকাল পেপার রয়েছে।


প্রতিদিন গড়ে ৫০-৭০ জন পাঠক এখানে বই পড়তে আসে। গ্রন্থাগার খোলা থাকি প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি।

গ্রন্থাগারে বই পড়তে আসা অমর ফারুক বলেন, এখানকার পরিবেশটা অনেক সুন্দর। প্রয়োজনীয় সব রকমের বই থাকয় প্রায় এখানে জব প্রিপারেসনের জন্য পড়াশোনা করতে আসি।


 


মেহরাব হোসেন অমি বলেন, এখানে ইতিহাস, সাহিত্য, রচনাবলী এবং প্রয়োজনীয় বই-পুস্তক আছে। যেগুলো পড়ে আমরা আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারি।


মায়া খাতুন বলেন, আমি এখানে প্রায়ই আছি সন্ধ্যার দিকে বই-পুস্তক পড়ার জন্য। গল্পের বই আছে যেগুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে।


১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারি গ্রন্থাগারটি সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। শহীদ মিনার কমিটি কর্তৃক নির্মিত ঘর দুটি ১৯৮২ সালে গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। এর জায়গাটির প্রকৃত মালিক ছিল এসারুদ্দীন শাহ।



১৯৯২ সালে প্রথম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান আসে গ্রন্থাগারে। সেই অনুদানের টাকায় গ্রন্থাগারের পাশেই একটি অফিস কাম সম্মেলনকক্ষ করা হয়।

শেয়ার করুন