২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:১৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভোজ্যতেলের দাম কমালেও বাজারে প্রভাব পড়েনি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১২-২০২২
ভোজ্যতেলের দাম কমালেও বাজারে প্রভাব পড়েনি

সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম ৪ টাকা কমানো হয়েছে। এটি ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু রাজধানীর খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। নতুন দাম কার্যকর হয়নি।

বিক্রেতাদের অজুহাত-মিল থেকে নতুন দামের তেলের জোগান নেই। পাশাপাশি আগের বেশি দামের তেল বিক্রিও শেষ হয়নি। এ কারণে বেশি দরেই তেল বিক্রি হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের এখনো বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

১৫ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯২ টাকার বিপরীতে ১৮৭ টাকায় বিক্রি করতে হবে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকার বিপরীতে ১৬৭ টাকায় বিক্রি করতে হবে।

পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯২৫ টাকার বিপরীতে ৯০৬ টাকায় বিক্রি করতে হবে। আর প্রতি লিটার পাম অয়েল (সুপার) ১২১ টাকার বিপরীতে ১১৭ টাকায় বিক্রি করতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে এ দাম কার্যকরের কথা বলা হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।

খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানান, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৭২ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর পাম অয়েল (সুপার) প্রতি লিটার ১৩৫-১৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নয়াবাজারের মুদি দোকানি মো. তুহিন বলেন, মিল থেকে এখন পর্যন্ত নতুন দামের তেলের জোগান নেই।

ডিলাররাও নতুন দামের তেল সরবরাহ করছে না। আর দোকানে বেশি দামের কেনা তেল এখনো বিক্রি শেষ হয়নি। এসব কারণে দাম কমানো হলেও বাজারে এর প্রভাব নেই। নতুন তেল এলে এবং আগের বেশি দামের কেনা তেল শেষ হলে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি হবে। একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা আল-আমিন হক বলেন, বিক্রেতারা ভোক্তাকে জিম্মি করে ফেলেছে।

কারণ সরকার কোনো কিছুর দাম বাড়ালে দোকানিরা সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে দেয়। তখন তারা চিন্তা করে না, পণ্যটি আগে কম দামে কেনা। আর সরকার কোনো পণ্যের দাম কমালে দোকানিরা সঙ্গে সঙ্গে দাম কমায় না। তখন তারা নানা ধরনের অজুহাত দেখায়। আসলে বেশি লাভের আশায় বিক্রেতারা বাজারে একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। আর বিড়ম্বনায় পড়ে ভোক্তারা। দাম কমলেও ভোক্তাকে বেশি টাকা দিয়েই পণ্য কিনতে হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মো. শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, ভোজ্যতেলের দাম সরকারের পক্ষ থেকে লিটারে ৫ টাকা কমানো হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদারকি করছি। দাম সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। তবে আগের কেনা তেল দোকানে থেকে যাওয়ায় তা কার্যকর হচ্ছে না। আমরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আগের কেনা রসিদ দেখছি। তারা সত্য না মিথ্যা বলছে, তা যাচাই করছি। কোনো অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনছি। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যেই দাম কার্যকর হবে।

শেয়ার করুন