২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:২৯:১০ অপরাহ্ন
ট্রেনে চড়ে পদ্মা পার হতে অপেক্ষা বাড়ছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০১-২০২৩
ট্রেনে চড়ে পদ্মা পার হতে অপেক্ষা বাড়ছে

দক্ষিণাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনকারী পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে সাত মাস আগে। দ্বিতল সেতুটি চালুর পর একইসঙ্গে গাড়ির পাশাপাশি ট্রেনও চলার কথা থাকলেও ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে। সেতুর নিচের অংশের কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় ট্রেন চেপে পদ্মা পাড়ি দিতে আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রেনে পদ্মা সেতু পার হতে অপেক্ষা করতে হবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কারণ এখন পর্যন্ত সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ।

গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় দেশের দীর্ঘতম সেতুটি।

২৬ জুন থেকে পুরোদমে বাস, ট্রাকসহ সব গাড়ি চলছে। শুরুতে মোটরসাইকেল চললেও এখন চলছে না দুই চাকার এই বাহনটি।

সেতুটি উদ্বোধনের পর গাড়ির পাশাপাশি ট্রেনও চলার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। চলতি বছরের জুনে ট্রেন চলবে বলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম আশ্বাস দিলেও সেই সময় পিছিয়ে যাচ্ছে।

প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেনে যাত্রী আনা-নেওয়া করা যাবে। আর পরের বছরের ডিসেম্বরে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চলাচল উদ্বোধন হবে।

বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের জন্য ২০১৬ সালে ‘পদ্মা রেল সংযোগ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণে তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা।

চীনা এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ চুক্তিতে করা এই কাজের প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ বেড়ে গেছে। এরইমধ্যে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। মেয়াদ বেড়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটারে রেল লাইন স্থাপনের কাজটিকে তিন ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়ন চলছে।

এরমধ্যে ৮৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত। বেশ কিছুদিন ধরে এই অংশে রেল লাইন বসিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্র্যাক কোচও চালানো হয়েছে।

অন্যদিকে মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটারে কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ। যা শেষ হতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। আর ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬২ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেছেন, সেতুর উপরের অংশের ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি আমরা।

রেল চালু সময় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে আফজাল হোসেন বলেন, গত আগস্ট মাস থেকে আমরা পদ্মা সেতুর ওপরে রেল লাইন বসানোর কাজ শুরু করতে পেরেছি। আশা করছি, সেতুর রেল লাইন বসানোর কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে।

পরবর্তীতে সিগনালিং ব্যবস্থাসহ বাকি করে সেপ্টেম্বর মাসের দিকে রেল চলাচল শুরু করা সম্ভব হতে পারে বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন