২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৪২:০৯ পূর্বাহ্ন
‘আত্মীয়-স্বজনের ইফতারি-খাওন দিয়া কয়দিন চলুম’
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৪-২০২৩
‘আত্মীয়-স্বজনের ইফতারি-খাওন দিয়া কয়দিন চলুম’

রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লাগে মঙ্গলবার। তৃতীয় দিনে এসেও আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের কাছে এসে বিলাপ করে কান্না করছেন ব্যবসায়ীরা।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা ইফতারি ও খাবার দিচ্ছেন। সঙ্গে দিচ্ছে সান্ত্বনা। কিন্তু এই সান্ত্বনা দুই দিনের। আমাদের পুনর্বাসন করে ব্যবসা শুরু করতে দিলে আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।


বিজ্ঞাপন


হাসিবুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী পুড়ে যাওয়া কাপড় দেখিয়ে বলেন, এগুলো তার দোকানের মালামাল। ঈদ উপলক্ষে শিশুদের পোশাক তুলেছিলেন তিনি। তার দোকানে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মালামাল ছিল।


শাহীনুর রহমান কান্নারত অবস্থায় বলেন, তার দোকানে আগুন লাগার তিনদিন আগে ২৫ লাখ টাকার মালামাল উঠিয়েছিলেন। আশা ছিল ঈদে বিক্রি হবে এবং সেই লাভের টাকা দিয়ে গ্রামে কিছু জমি রাখবেন।




আফজাল শেখের দোকান ছিল বঙ্গবাজার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়। তিনি বলেন, এমনভাবে পুড়বে তা কোনোদিনও ভাবেননি। মানুষের দোকানে আগুন লাগে। কিন্তু আগুনে যে সব শেষ হয়ে যাবে, কে ভাবছে?




ইকবাল নামের আরেক ব্যবসায়ী তার দোকানের তালা দেখিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, দোকানের লাখ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে, ক্যাশ বাক্স পুড়েছে। দোকানে দেওয়া স্টিলের তালা এখনো অক্ষত রয়েছে।



আগুন লাগার তৃতীয় দিনেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পানি দিতে দেখা যায়। মার্কেটের কোথাও কোথাও ধোঁয়া বের হচ্ছে। সেখানে পানি নিক্ষেপ করছে ফায়ার সার্ভিস।


দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আগুন লাগা মার্কেটের কাছ থেকে সব ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেয়। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদেরও বাইরে যেতে অনুরোধ করে পুলিশ।


মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। আগুন নেভাতে সকাল থেকে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট। এরপর সেখানে নির্বাপণ কাজে যোগ দেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যসহ র্যাব, বিজিবি ও ওয়াসার সদস্যরা।

শেয়ার করুন