রাজধানীর বাজারে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের চাপ না পড়লেও ইলিশের দাম হালিতে বেড়ে গেছে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। অস্থির মুরগির বাজারে আবারও ঊর্ধ্বমুখী ব্রয়লারের দাম। অস্থিরতা বেড়ে গেছে চিনির বাজারেও। এ সবের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ঈদের কেনাবেচায়।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির দেশের মুরগির বাজার। প্রতিদিনই ওঠানামা করছে দাম। সবশেষ গত সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে আবারও বেড়েছে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির বাজারে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই কেজিতে আবারও ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে ব্রয়লারের দাম। বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে। তাই সরকারকে বাজার মনিটরিংয়ে আরও কঠোর হওয়ার দাবি তাদের।
এ ছাড়া বৈশাখী কেনাবেচার চাপ না পড়লেও সরবরাহ সংকটে পড়ে প্রতি হালি ইলিশের দাম বেড়ে গেছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর এক কেজি ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।
মাছে-ভাতে বাঙালির পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনে বরাবরই বাড়তি নজর পড়ে ইলিশের ওপর। তবে এবার বাংলা নববর্ষের চিত্র ভিন্ন, বাজারে চাহিদা নেই রুপালি এ মাছের। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ সংকটের কারণে বেড়ে গেছে দাম; এছাড়া রমজানের কারণে ক্রেতা কম বাজারে।
এদিকে আবারও তীব্র সংকটে পড়েছে চিনি। গত ৬ এপ্রিল কেজিতে ৩ টাকা দাম কমানোর ঘোষণার পর থেকেই বাজার চলছে উল্টো পথে। খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১০৪ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতাদেরই কিনতে হচ্ছে ১১৫ টাকার বেশি দামে।
বিক্রেতারা বলেন, বাজারে চিনির দাম বাড়তি। পাইকারি দাম পড়ছে ১১৫ টাকার বেশি। তাই চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া চিনির এ দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের কারণে ঈদ উপলক্ষে লাচ্ছা সেমাই বিক্রিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানান তারা।
আর তীব্র গরম ও রমজানের প্রভাবে চাহিদা বাড়ায় বেল, তরমুজ, আপেল ও মাল্টাসহ দেশি-বিদেশি ফলের দোকানে বাড়তি চাপ পড়েছে ক্রেতাদের ওপর। দামও তাই ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি সবজির বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও লেবুর দাম ডজনে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি ডজন লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।