২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০১:৩৩:১৯ অপরাহ্ন
পাঁচ সিটি ভোট নিয়ে জোরেশোরে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৪-২০২৩
পাঁচ সিটি ভোট নিয়ে জোরেশোরে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ

ঈদের আমেজ শেষ হবার পরই জোরেশোরে মাঠে নামবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করা।

পাশাপাশি সংগঠনকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শক্তিশালী করেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং বিরোধী তৎপরতাও মোকাবেলা করতে চায় দলটি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা হুশিয়ারী দিয়ে বলছেন, বিএনপি যদি নির্বাচন বানচালের কোন ধরনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

রমজানে সভা-সমাবেশের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে অসহায় ও দুঃস্থদের ইফতার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ। একই কর্মসূচি পালন করেছে সহযোগী সব সংগঠনও।

তবে রোজা ও ঈদ শেষে আবারো সভা সমাবেশ নিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন দল। জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচটি সিটি নির্বাচনে বিজয়কে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরছে ক্ষমতাসীনরা।

পাশাপাশি সারাদেশে বাকি থাকা কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হবে। রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফেরার পর আবারো শুরু হবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার জনসভা।

সেই সাথে নির্বাচনের আগেই সংগঠন সাজাতে চায় আওয়ামী লীগ। দলটির জেষ্ঠ নেতা জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, সবাইকে একটি মোহনায় নিয়ে আসা হবে। দলের ভেতরে সংকট ও ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেসব সমাধান করার উদ্যেগ নেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের আরেক জেষ্ঠ নেতা ফারুক খান বলেন, সবচেয়ে বেশি দরকার ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিগুলো নিয়ে কাজ করা। কারণ, ভোটের সময় এসব কমিটিই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের দায়িত্বে থাকবে। সেলক্ষ্য কেন্দ্র ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে।

ঈদের পর বিএনপির আন্দোলনের হুমকিকে হালকাভাবে নিলেও, সরকার বিরোধী নানা মহলের তৎপরতার বিষয়ে সজাগ রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দলটির নেতারা মনে করছেন, এখন বিরোধীতা করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে আসবে বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে আওয়ামী লীগ।

ফারুখ খান বলেন, যে কোন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন করতে হলে সংবিধান মেনে তা করতে হবে। বিএনপি যখন ৯৬ সালের নির্বাচন করতে আসে তখন বলেছিলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কিছু নেই। সেই কথা মনে রেখে বিএনপির উচিৎ নির্বাচনে আসা।

আর নানক হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হয় তাহলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। আর নির্বাচন বিমুখতার জন্য বিএনপির পরিণতি হবে জাসদের মতো।

আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা আরও বলেন, তত্তাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে কোন আলোচনা বা ছাড় না দেবার সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের।

শেয়ার করুন