মিরপুর টেস্টে ঘাসের উইকেটে প্রথম দিন সেভাবে দাপট দেখাতে পারেননি আফগান পেসাররা। কিন্তু দ্বিতীয় দিন তোপ দাগিয়েছেন বাংলাদেশ-আফগানিস্তান দুই দলের পেসাররাই। সারাদিনে উইকেট পড়েছে ১৬ টি। এর মধ্যে ১১ উইকেটই দখলে নিয়েছেন তাঁরা। পাঁচ উইকেট নেন স্পিনাররা।
প্রথম দিন ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনেই ২০ রানে স্বাগতিকদের পরের ৫ উইকেট তুলে নেন দুই পেসার–নিজাত মাসুদ ও ইয়ামিন আহমাদজাই। ৩৮২ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
পাল্টা আক্রমণে আফগানদের দাঁড়াতেই দেননি ইবাদত হোসেন-শরীফুল ইসলামরা। তাঁদের অগ্নিঝরা বোলিয়ে প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানকে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সর্বসাকূল্যে নাজমুল হোসেন শান্তর প্রথম ইনিংসের সমানই রান হয়েছে সফরকারীদের। আফগানদের দ্রুত গুঁড়িয়ে দেওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ইবাদতের। একাই তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। সুযোগ ছিল পাঁচ উইকেট শিকারেরও। তবে তা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই তাঁর। দেশের মাটিতে এটি তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ইবাদত জানিয়েছেন, সেশন অনুযায়ী দুই ওভার পেছনে ছিল বাংলাদেশ। স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানাও হতে পারত তাদের। কিন্তু অধিনায়ক লিটন দাস দ্রুত ওভারগুলো করে পুষিয়ে নিতে দুই স্পিনার–তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে এবং তৃতীয় সেশনের শুরুতেই তাইজুল ও মিরাজ তুলে নেন দুটি করে চার উইকেট। ফলে ইবাদত আর পাঁচ উইকেট নেওয়ার সুযোগ পাননি।
দিনের খেলা শেষ সংবাদ সম্মেলনে ইবাদত বললেন, ‘যা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। পাঁচ উইকেট হয়নি, কারণ আমরা দুই ওভার পেছনে ছিলাম। অধিনায়ক চেয়েছে আমরা যদি পিছিয়ে থাকি, তাহলে জরিমানার একটা ব্যাপার থাকে। তখন (লিটন) বলেছে, চা বিরতির পর দুইপাশ থেকে দুই স্পিনার দিয়ে শুরু করব। যেহেতু দল আগে, ঠিক আছে। আমার কাছে দলের ব্যাপার সবচেয়ে বড় জিনিস।’
মিরপুরে ঘাসের উইকেটে টেস্ট কখন হয়েছিল, তা অনেকের মতো ইবাদতেরও জানা নেই। এমন পেস সহায়ক উইকেটে খেলে উচ্ছ্বসিত এই পেসার বলছেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথম এমন উইকেট পেয়েছি। তিন পেসার নিয়ে টেস্টে এমন উইকেটে খেলা আমাদের জন্য অনেক বড় সৌভাগ্যের। আমরা চেষ্টা করেছি, ওদেরকে যত কম রানে আউট করা যায়। পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।’