২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৫:৩২:৪৪ পূর্বাহ্ন
তানোর থানার ওসির বিুরদ্ধে সিএনজি গায়েব করার অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৬-২০২৩
তানোর থানার ওসির বিুরদ্ধে সিএনজি গায়েব করার অভিযোগ

রাজশাহীর তানোর থানা থেকে সিএনজি ও মোটরসাইকেল গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ডি আইজ ও পুলিশ সুপার বরাবর সিএনজি ও মোটরসাইকেল মালিকের তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া মোটরবাইকের মালিক তানোর পৌর এলাকার বুরুজ মহল্লার বাসিন্দা বেলাল হোসেনকে মোটরসাইকেল বাবদ ২৫,০০০/পচিশ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও সিএনজি মালিক তানোর পৌর এলাকার আমশো তাঁতিয়ারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আবুল হোসেন ধলুকে হুমকি ধামকি ও হয়রানী মুলক মামলা দেয়ার ভয়ভিতি দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১৮ই জুন সকালে সিএনজি চালক পুর্নরায় পুলিশ সুপার বরাবর তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন সিএনজি মালিক আবুল হোসেন ধলু।


সংশ্লিষ্ট সিএনজি ও মোটরসাইকেল গায়েব হয়ে যাওয়া বিষয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ আগস্ট থানা থেকে সিএনজি গায়েব বা বিক্রি কিংবা উধাও হয়ে গেছে মর্মে সিএনজির মালিক তানোর পৌর এলাকার আমশো তাঁতিয়ারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আবুল হোসেন ধলু ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় নোটিশ জারি করেন। নোটিশে সিএনজি মালিক, অভিযুক্ত বর্তমান ওসি এবং বদলি হওয়া ওসি রাকিবুল হাসানকে ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে তলব করা হিলে বদলি ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব জব্দকৃত সিএনজি ও জিডির কাগজপত্রসহ যাবতীয় সবকিছু বুঝিয়ে তিনি বদলি হন বলে সার্কেল এএসপিকে অবহিত করেন তিনি। যা তদন্তে বিষয়টি সত্যতাও পাওয়া যায়।


এ ব্যাপারে সিএনজি মালিক আবুল হোসেন ধলু জানান, আমি স্যারকে বলেছি ওই সিএনজি আমার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আশ্বাস দিয়েছেন- সিএনজি বের করার ব্যাপারে পুলিশের লোকজন কাজ করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার সিএনজি আমাকে বুঝিয়ে না দেয়াতে পুলিশ সুপার বরাবর আবারো আমি বিচার চেয়ে অভিযোগ পত্র দাখিল করি।


সিএনজি মালিক আবুল হোসেন আরও জানান, এহেন অবস্থায় ওসির কাছে সিএনজির কথা বলামাত্রই তিনি নানা ধরনের হুমকি ধমকি এবং বিভিন্ন মামলার ভয় দেখান। এতে তিনি নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন।


এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোদাগারী সার্কেল) আসাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সকালে তানোর থানার বর্তমান ওসি কামরুজ্জামান মিয়া ও বদলি হওয়া ওসি রাকিবুল হাসান ছাড়াও সিএনজি মালিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বদলি হওয়া ওসি রাকিবুল হাসান সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছিলেন। তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়াও আরও কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ আটককৃত মোটরবাইক থানা থেকে গায়েব হয়ে যায়। পরে ওই মোটরবাইকের মালিক তানোর পৌর এলাকার বুরুজ মহল্লার বাসিন্দা বেলাল হোসেন পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট মোটরবাইক নিতে থানায় ডাকেন ওসি। তিনি বুধবার ২৪ আগস্ট সকালে থানায় যান। তার সঙ্গে আরও লোকজন ছিল। তিনি মোটরসাইকেল পাননি। কিন্তু ওসি তাকে বাইকের মূল্য হিসেবে নগদে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন বেলাল।


এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এগুলো অনেক আগের বিষয়। এখন কেন এ বিষয়ে লিখবেন ? আজকে পুলিশ সুপার এর কাছে অভিযোগ বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন