ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। সেখানে ৪০ মিনিটের মতো অবস্থানকালে তিনি নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাননি। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে চার ঘণ্টা ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য দিয়েছেন এই নির্বাচন কমিশনার।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ঢাকার বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। দু-একটা কক্ষে ভোট চালু হয়েছে দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখেছি। এজেন্ট একটা প্রার্থীর দেখেছি। প্রিসাইডিং অফিসার বলেছেন কিছু কিছু তালিকা আসেনি, হয়তো পৌঁছাবে। ভোটের পরিবেশ ভালো তেমন কিছু নজরে আসেনি। আমরা সিসি ক্যামেরায় অনিয়মের কোনো চিত্র দেখতে পাইনি। পরিবেশ ভালো আছে।’
কোনো প্রতীকের এজেন্ট পেয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের এজেন্টকে পেয়েছি।’
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্র থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফোন থাকায় সাংবাদিক বের করে দিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার, এ জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে আমি যখন গিয়েছি তখন কিন্তু অনেক সাংবাদিক ছিলেন।’
ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম আমরাও দেখেছি। এটার কারণ হতে পারে খুব অল্প সময়ের জন্য। অভিজাত এলাকা, এ জন্য ভোটার হয়তো এ কারণেও আগ্রহী না। তবে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারব পরে। ভোট পড়ার হার বাড়বে বলে আমরা ধারণা।’
একজন প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত দেখতে পারতেন। যদি সকালেই ভোট বর্জন করেন, তাহলে তো উনি দেখতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত কী হলো।