বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে মামলা নিয়ে জটিলতা কেটেছে। পৌনে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৭ আগস্ট এই অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন। কবে নাগাদ নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে শিগগির চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক-২ (বেসরকারি) শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় ২৭ হাজার ৭৫৪ জন শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন চেয়ে ১৭ আগস্ট চিঠি দিয়েছে এনটিআরসিএ। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
জানা যায়, সুপারিশবঞ্চিত এক প্রার্থীর মামলার কারণে আটকে ছিল বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারছিল না এনটিআরসিএ।
নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করে গত ১২ মার্চ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৩২ হাজার ৪৩৮ প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়। এসব প্রার্থীর মধ্যে ভিআর ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ৩৬ হাজার ৮৮২টি শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল। সব কটি পদই এমপিওভুক্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি সহজ করার পাশাপাশি একজন প্রার্থী পছন্দের সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন। এগুলোতে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেলে যোগ দেবেন কি না, তা বাছাইয়েরও সুযোগ দেওয়া হয়।
এর আগে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদ পূরণে ২০২১ সালের ৩০ মার্চ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। সেখান থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।