উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বাগমারা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রশাসনের নাকের ডগায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ। রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার ১৩নং গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সাজুড়িয়া মৌজায়, সাজুড়িয়া বিলে প্রায় ৫০বিঘা ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কাজ।
এই অবৈধ পুকুর খনন কাজ করছে ওই এলাকার প্রভাবশালী সুমন শাহ এবং উক্ত ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মো: বকুল। এসব পুকুর খননের কারণে এলাকার কৃষি জমি মারাত্মক ঝুঁকির মুখে বলে মনে করছে এলাকার সাধারণ কৃষক।
এসব পুকুর খনন করছে এস্কেভেটর ভেকু মেশিন দিয়ে ৮-১০ফিট গভীর করে বিক্রি করা হচ্ছে পুকুরের মাটি। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কৃষক জানান, প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে জানালেও হয়নি কোন লাভ। তারা আরও বলে অবৈধ পুকুর খনন কারীরা এতই প্রভাবশালী তারা অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা কৃষকদের বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে হুমকি দিছেন বলে জানান, এলাকার সাধারণ কৃষক। তাই তারা অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে নিরুপায় হয়ে মুখ বুজে থাকতে হচ্ছে বলে জানান।
এলাকার সাধারণ কৃষকদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই দাবি এসব অবৈধ পুকুর খনন করা বন্ধ করা হোক এবং এই অবৈধ পুকুর খননকারী সুমন শাহ ও উক্ত ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার বকুলকে আইনের আওতায় আনা হোক। এই অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে সুমন শাহ সাথে কথা বললে তিনি বলেন এই অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই। বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ মোস্তাক আহম্মেদকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি এবং দ্রুত ফোর্স পাঠাচ্ছি ওই জায়গায়।
বাগমারা উপজেলার ১৩নং গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সাজুড়িয়া বিলের প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে বাগমারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানের কাছ জানান জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ানের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সব পুকুর খনন বন্ধ করা সম্ভব না আপনি ভুক্তভোগীদের দিয়ে মামলা করান।