০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৫৬:২২ পূর্বাহ্ন
কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে আলুর দাম
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৬-২০২২
কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে আলুর দাম

বরিশালের বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে আলুর দাম। মাছ ও সবজিসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যরে উচ্চমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার (১১ জুন) নগরীর পোর্ট রোড ও পুরান বাজার ঘুরে এমনটি জানা যায়।


সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে- বাঁধাকপি ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪-৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৪ টাকায়।


অপরদিকে বড় দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা, ছোট দানার মসুর ডাল ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকা, দেশি আদা ৭০ টাকা, চীনা আদা ৮০ টাকা, দেশি রসুন ৯০ টাকা, চীনা রসুন ১৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।



প্যাকেট আটা ৪৫ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৬৫ টাকা এবং খোলা চিনি ৮২ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ২০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার ১৯৮ টাকা লিটার রাখা হচ্ছে।


অন্যদিকে খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৬-৬৮টাকা। ভালো মানের বিআর-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকায়।


ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফারমের ডিমের হালি ৪০ টাকা।


মাছের বাজারে মাঝারি সাইজের তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ১৬০, মাঝারি সাইজের শোল ৭০০-৮০০ ও ছোট সাইজের চিংড়ি ৯০০-৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ এবং খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


নগরীর পোর্টরোড বাজারে কেনাকাটা করতে আসা শাখাওয়াত হোসেন নামে এক ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে সব কিছুর দামই বাড়তি। এর মধ্যে নতুন করে আলুর দামও বেড়েছে। এক হালি ফারমের মুরগির ডিমের দাম এখন ৪০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের চড়া দামের কারণে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।


নগরীর পোর্টরোড বাজারের খুচরা মুদি দোকানি জায়াত স্টোরের মালিক হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আলুর চাহিদা বেড়েছে। সে তুলনায় সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় পাইকারি পর্যায়ে আলুর দাম বেড়েছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তাছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ নিত্য পণ্যেও দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শেয়ার করুন