২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৯:২৫ অপরাহ্ন
কুসিকে হ্যাটট্রিক না নতুন মুখ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২২
কুসিকে হ্যাটট্রিক না নতুন মুখ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে টানা দুবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন, নাকি আসছে নতুন মুখ। তা দেখতে মুখিয়ে আছেন কুমিল্লাসহ সারা দেশের মানুষ।

কারণ অনেকেই মনে করছেন, এ ভোট নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য আস্থা অর্জনের প্রথম পরীক্ষা। এরমধ্য দিয়ে ইসির গ্রহণযোগ্যতার প্রাথমিক মাপকাঠি অনেকাংশে নির্ভর করছে।

যার প্রভাব পড়বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এমন পরিস্থিতিতে আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুসিকের ভোট।

তফশিল ঘোষণার পর থেকেই এই নির্বাচনের ওপর দৃষ্টি আছে দেশবাসীর। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির দুই নেতা-সাক্কু ও নিজামউদ্দিন কায়সার ভোট করছেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় দুজনকেই আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। অন্যদিকে টানা দুবার পরাজয়ের পর এবারের ভোটে জয় নিশ্চিতে নতুন প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

এই প্রার্থীর পক্ষে সদরের সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কুমিল্লায় অবস্থান, এর বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য এবং প্রার্থীদের পরস্পরবিরোধী অভিযোগে এরই মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোটের পরিবেশ।

যদিও এখন পর্যন্ত ঘটেনি কোনো অঘটন। তবুও আজকের ভোট নিয়ে উৎসবের পাশাপাশি রয়েছে এক ধরনের শঙ্কা। বিশেষ করে কালোটাকার প্রভাব ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বহিরাগত অবস্থান করায় এমন শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে স্থানীয়দের প্রত্যাশা-অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমেই যেন তারা নগরপিতা নির্বাচিত করার সুযোগ পান।

এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টি স্থানে বসানো হয়েছে তল্লাশিচৌকি। মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে তিন হাজার সদস্য।

নির্বাচনে পাঁচ মেয়র প্রার্থীসহ ২৭টি সাধারণ ও নয়টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। সবার কৌতূহল-কে হচ্ছেন গোমতী নদীপারের ঐতিহ্যবাহী শহর কুমিল্লার নগরপিতা?

ফের মনিরুল হক সাক্কু নাকি আরফানুল হক রিফাতকে নিয়ে জয়ের তীরে ভিড়তে পারবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ? এর বাইরে কি চমক দেখাবেন তরুণ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার?

সাধারণ ভোটারদের ধারণা-তাদের মধ্যেই ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ) নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।

২৭ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ১৩ জুন পর্যন্ত বিরামহীনভাবে প্রচার চালিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এদিকে ভোটের মাঠে মেয়র প্রার্থীদের সামনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাতের বড় চ্যালেঞ্জ-সব বিভেদ ও দ্বন্দ্ব দূর করে আফজল পরিবারসহ মেয়র পদে মনোনয়ন চাওয়া অপর ১৩ নেতা ও তাদের অনুসারীদের তার পক্ষে দলের সব নেতাকর্মীকে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামানো।

মনিরুল হক সাক্কুর সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে-নিজের ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা এবং বিএনপির দলীয় ভোট নিজের পক্ষে আনা। অন্যদিকে আরেক প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারের চ্যালেঞ্জ-দলীয় ভোটে সাক্কুকে ভাগ বসাতে না দিয়ে নিজের পরিচ্ছন্ন ইমেজ কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী ভোটের প্রবাহ নিজের দিকে আনা।

এদিকে কুমিল্লার ভোটে বরাবরের মতো এবারও নতুন ভোটার, নারী ভোটার এবং সংখ্যালঘু ভোটারদের নিজেদের পক্ষে যে বেশি নিতে পারবেন সেই জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। এছাড়া দক্ষিণের ৬৫ হাজার ভোটও জয়-পরাজয়ে বড় নিয়ামক হিসাবে কাজ করবে।

সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে থাকবেন। তারা চাইবেন নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি দূর করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে।

এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও শুরু থেকেই এ নিয়ে কাজ করছেন। একক প্রার্থী নিশ্চিতের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মী বিশেষ করে আফজল গ্রুপের নেতাদের মাঠে নামানোর কাজ করেছেন তারা।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন নেতা ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ও বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর নির্বাচনি প্রচারের পাশাপাশি সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর জন্য কাজ করেছেন।

সোমবার রাত ৩টার দিকে তারা ঢাকায় ফেরেন। এদিকে আজ তাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য নেতারাও সারা দিন কুমিল্লার ভোটের দিকে নজর রাখবেন।

এদিকে নানা ধরনের আশঙ্কার কথা বললেও সদ্য সাবেক মেয়র সাক্কু এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার শেষপর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার প্রস্তুতি রেখেছেন। তারা প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে একাধিক তালিকাও প্রস্তুত রেখেছেন।

কায়সার ও সাক্কুর পক্ষে নির্বাচনি মাঠে আছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। তারা বলছেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। তবুও তারা শেষপর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার নির্দেশনা পেয়েছেন।

বাকি সবকিছু নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। এদিকে ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, কেন্দ্র থেকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কেউ যেন প্রকাশ্যে কারও পক্ষে কাজ না করে। ফলে আমাদের কৌশলে কাজ করতে হচ্ছে। তাই বলে বিএনপির দলীয় ভোট কোনোভাবেই অন্য কোথাও যাবে না।

জানতে চাইলে আরফানুল হক রিফাত যুগান্তরকে বলেন, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক। নৌকা শেখ হাসিনার প্রতীক। কুমিল্লার মানুষ যদি প্রধানমন্ত্রীর প্রতীকে ভোট দেন তাহলে আমি পাশ করব, পাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আমি তখন কুমিল্লার মানুষের বিভিন্ন দুর্ভোগ ও সমস্যা নিয়ে যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করতে পারব। এই কারণেই কুমিল্লার মানুষ নৌকাকে ভোট দেবে। তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা ছোট শহর। আমরা সবাই মিলেই কুমিল্লা।

মনিরুল হক সাক্কু যুগান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটের যে পরিবেশ, তা সন্তোষজনক। আমি বারবারই বলছি এবার আমাদের চেয়ে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি রক্ষার বিষয়টিই মূল বিষয়। তিনি বলেন, প্রায় ৪৪ বছর ধরে রাজনীতি করি, সবসময় একভাবেই চলেছি।

মেয়র তো দুবার হয়েছি, এবার তো ধরেন বোনাস। ভোটাররা সবাই ভোটের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। ইভিএম বা অন্য কোনো সমস্যা নয়, ভোট দিতে পারবে কি-না, এ আশঙ্কাই করছেন সবাই।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার যুগান্তরকে বলেন, সরকারি দলের প্রার্থী এবং স্থানীয় সংসদ-সদস্য এই ভোটে প্রভাব বিস্তার না করলে নির্বাচন অনেক সুন্দর হতো। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আশ্বাসে দলের সঙ্গে বিদ্রোহ করে নির্র্বাচন করতে এসেছি।

কিন্তু বাস্তবে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটোজগন্নাথ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এবার পরিবর্তনের লক্ষ্যে নগরবাসী ঐক্যবন্ধ। তারা তারুণ্যের জয় দেখতে চায়। আমাকে নগরপিতার আসনে বসাতে চায়।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০১৭ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন। ভোট পড়েছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৬৯০।

এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছিলেন ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট, আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনজুম সুলতানার নৌকা প্রতীক পেয়েছিল ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।

এর আগে সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর ২০১২ সালের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান। সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন মনিরুল হক সাক্কু।

এবার কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দুজন।

সেই হিসাবে গত নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে ২২ হাজার ৩৫৪ জন, যাদের প্রায় সবাই তরুণ। এ ছাড়া এখানে পুরুষ থেকে নারী ভোটার বেশি। আর সংখ্যালঘু ভোটারও প্রায় ৩৫ হাজার।

২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৯ ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাতটি কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৯টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এর মধ্যে সদর দক্ষিণ উপজেলার ৯টি ওয়ার্ডের (১৯ থেকে ২৭ নম্বর) ৩২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সবই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে।

আরফানুল হক রিফাত : ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি এবং স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

জিলা স্কুলে পাঠকালে তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ-সদস্য হাজি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী হিসাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।

১৯৮০ সালে তিনি শহর ছাত্রলীগের সভাপতির পদ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের প্যানেলে তিনি বহিঃক্রীড়া ও ব্যায়ামাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্যপদ লাভ করেন। পরে তিনি কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন।

এ ছাড়া গত ১২ বছর ধরে তিনি কুমিল্লা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

রিফাত কুমিল্লা ক্লাবের দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের জনক। সবশেষ কুসিকের তৃতীয় দফা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন লাভ করেন।

মনিরুল হক সাক্কু : সদ্য সাবেক মেয়র সাক্কুর বেড়ে ওঠা নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পৈতৃক ভিটায়। নগরীর ইউসুফ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন।

পরে বিএনপি দলীয় প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের হাত ধরেই রাজনীতি শুরু। এরই সূত্র ধরে ১৯৯৪ সালে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতির পদ লাভ করেন।

এ সরকারের অধীনে কুসিক নির্বাচনে অংশ গ্রহণের দায়ে সবশেষ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। সাক্কু ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পৌর মেয়র ছিলেন। এরপর ২০১২ এবং ২০১৭ দুবার নির্বাচিত হয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। অতীতের নির্বাচনগুলোতে তিনি কখনো বিএনপির প্রত্যক্ষ এবং কখনো আবার পরোক্ষ সমর্থন পেয়েছেন।

নিজাম উদ্দিন কায়সার : কুসিক নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী। ১৯৮২ সালের ৩১ অক্টোবর জন্ম নেওয়া কায়সার চার ভাই, চার বোনের মধ্যে সপ্তম।

শিক্ষা, বেড়ে ওঠা এবং রাজনীতি কুমিল্লা শহরেই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। তরুণ রাজনীতিবিদ একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীও।

তার ভগ্নিপতি সাবেক সংসদ-সদস্য এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশিদ ইয়াছিনের হাত ধরেই তার রাজনীতিতে পদার্পণ।

১৯৯৮ সালে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহসমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে বৃহত্তর কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ধারাবাহিকভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

শেয়ার করুন