২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৭:০৩ অপরাহ্ন
ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের তীব্র লড়াইয়ের আশা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১০-২০২৩
ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের তীব্র লড়াইয়ের আশা

বিশ্বকাপে দুই তাসমান প্রতিবেশীর লড়াই আজ। কিছু ক্ষেত্রে বেশ মিল থাকায় নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা প্যাট কামিন্সের কাছে ‘প্রতিবেশী’র চেয়েও বেশি কিছু—অনেকটা সতীর্থের মতো! সেমিফাইনালের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে সেই কিউই ‘সতীর্থদের’ই আজ হারাতে চায় অস্ট্রেলিয়া। 


দুই দল এরই মধ্যে পাঁচটি করে ম্যাচ খেলেছে। চারটি জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তিনটি অস্ট্রেলিয়া। একটা জয় কম পাওয়ায় শেষ চারের দৌড়ে থাকার জন্য কিউইদের চেয়ে তাদের জয়টাই বেশি জরুরি। বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান অবশ্য এগিয়ে রাখছে তাদের। ১১ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আজও জিততে চায় অজিরা। তবে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাসমান প্রতিবেশীদের মধ্যে নিজেদেরই একটা ছায়া দেখতে পাওয়ার কথা বললেন কামিন্স, ‘আমি মনে করি, বেশির ভাগ কিউইই খুব শান্ত, সেদিক থেকে খুবই মিল আমাদের সঙ্গে। এই কিউই ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমরা অনেক ক্রিকেট খেলেছি। তাদের অনেকেই আবার সত্যিকারের ভালো সতীর্থ। আর এটাই জয়ের জন্য উদ্দীপ্ত করবে আপনাকে। তীব্র লড়াই হবে।’ 


এই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দলের মিচেল স্টার্ক, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, জশ হ্যাজলউডরা এখনো অস্ট্রেলিয়া দলে। সেই ফাইনালে খেলা কেন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, টিম সাউদিরাও আছেন কিউই দলে। পরস্পরকে জানলেও তাই আজকের ম্যাচে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। 


অস্ট্রেলিয়া চলতি টুর্নামেন্টে সব শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও তাদের শুরুটা হয়েছিল টানা হারে। কামিন্স খুশি বাজে ফর্মটা তাঁরা পেছনে ফেলে এসেছেন বলে। অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমরা শুধু যে প্রথম দুটি ম্যাচ জিততে পারিনি, তা নয়; আমার বিশ্বাস, ওই দুই ম্যাচে যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবে খেলতেও পারিনি আমরা। তবে আমি মনে করি, শেষ কয়েক ম্যাচে অধিকতর আক্রমণাত্নক খেলেছি আমরা, সেটা ব্যাটিংয়ে, বোলিংয়েও।’ 


ব্যাটিংয়ে সেই আগ্রাসনের ফলই ডাচদের বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৪০ বলে সেঞ্চুরি, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসেরই দ্রুততম। এই আগ্রাসী অস্ট্রেলিয়াকে কোন দলেরই না ভয়! 


নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম লাথাম তো বলেই ফেললেন, ‘এই মুর্হূতে তারা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। শুরুটা যদিও তাদের পছন্দমতো হয়নি; কিন্তু শেষ তিন ম্যাচে তারা যে ফর্ম দেখিয়েছে, সেটাই অস্ট্রেলিয়া, যা জানি আমরা।’ 


এই ‘জানা’র পরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রত্যাশা লাথামের, ‘ট্রান্স-তাসমান দ্বৈরথ সত্যিই বিশেষ কিছু। আর আমি মনে করি, শুধু ক্রিকেটেই নয়, সব খেলাতেই এই দ্বৈরথ।’


শেয়ার করুন