২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৮:৪২:৩৮ অপরাহ্ন
মুশফিক-লিটনের কাছে জীবন পেলেন এডওয়ার্ডস, অর্ধেক শেষ নেদারল্যান্ডসের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১০-২০২৩
মুশফিক-লিটনের কাছে জীবন পেলেন এডওয়ার্ডস, অর্ধেক শেষ নেদারল্যান্ডসের

দুর্দান্ত বোলিংয়ে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ আজ দারুণ চাপে রেখেছে নেদারল্যান্ডসকে। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছে ডাচরা। বোলারদের এমন দারুণ পারফরম্যান্সের দিনে ফিল্ডিংয়ে হতাশ করেছে বাংলাদেশ। 

 

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করা নেদারল্যান্ডসের স্কোর ছিল এক পর্যায়ে ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৩ রান। ১৬ তম ওভারে পড়তে পারত ডাচদের ৫ম উইকেট। ওভারের দ্বিতীয় বলে মোস্তাফিজুর রহমানকে ড্রাইভ করতে যান ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তবে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও গালিতে বল তালুবন্দী করতে পারেননি লিটন দাস। একই ওভারে আরও একবার জীবন পেয়েছেন এডওয়ার্ডস। মোস্তাফিজকে খোঁচা দিতে যান ডাচ অধিনায়ক। এজ হওয়া বল ডাইভ দিয়েও ধরতে পারেননি বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। রানের খাতা খোলার আগেই দুইবার বেঁচে যান ডাচ অধিনায়ক। মোস্তাফিজ অবশ্য সেই ওভারটা মেডেন দিয়েছেন। 


বেঁচে যাওয়া এডওয়ার্ডস পঞ্চম উইকেট জুটিতে বাস ডি লিডকে নিয়ে সাবলীলভাবেই এগোতে থাকেন। তাদের এই জুটি গড়ার পথে বাদ সেধেছেন তাসকিন আহমেদ। আউটটাও হয়েছে কিছুটা অদ্ভুতুড়ে উপায়ে। ২৭ তম ওভারের শেষ বলে তাসকিনকে কাট করতে যান ডি লিড। মুশফিক সহজেই তা তালুবন্দী করলেও তেমন আবেদন করেননি। পরে অধিনায়ক সাকিবসহ সবাই সজোরে আবেদন করেন। যতক্ষণ বাংলাদেশ রিভিউ নিতে যাচ্ছিল, ডি লিডও হাঁটা দিয়েছেন ড্রেসিংরুমের পথে। কেননা ডাচ অলরাউন্ডার বুঝতে পেরেছেন ব্যাটে খোঁচা লেগেছে ও রিপ্লেতেও তা দেখা গেছে। ২৭ ওভার শেষে ডাচদের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০৭ রান। পঞ্চম উইকেটে ৭৪ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন এডওয়ার্ডস-ডি লিড। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩০ রান। এডওয়ার্ডস ৫৭ বলে ৩৭ রানে ব্যাটিং করছেন। আর ১৩ রানে অপরাজিত আছেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। 


এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করা নেদারল্যান্ডস উইকেট হারিয়েছে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিন আহমেদকে ফ্লিক করতে যান ডাচ ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং। লিডিং এজ হওয়া বল মিড অফে সহজে তালুবন্দী করেছেন সাকিব আল হাসান। ৯ বলে ৩ রান করেছেন বিক্রমজিৎ। ১.৪ ওভারে নেদারল্যান্ডসের স্কোর হয়ে যায় ১ উইকেটে ৩ রান।  


শুরুর ধাক্কা কাটতে না কাটতেই আবারও উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে শরীফুল ইসলামকে শট করতে যান ম্যাক্স ও’ডাউড। আউটসাইড এজ হওয়া বল লাফ দিয়ে স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ও’ডাউড তিন বল খেলেও রানের চাকা খুলতে পারেননি। তাতে নেদারল্যান্ডসের অবস্থা দাঁড়ায় ২.২ ওভারে ২ উইকেটে ৪ রান।  


প্রথম দিকে ২ উইকেট হারানোর পর সাবধানে খেলতে থাকে নেদারল্যান্ডস। পঞ্চম ওভারে শরীফুলের ওভার থেকে ডাচরা নিয়েছে ৯ রান। ২টি চার মেরেছেন ওয়েসলি বারেসি। এরপর ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে তাসকিন আহমেদ মেডেন দিয়েছেন। কলিন অ্যাকারমান একাই খেলেছেন পুরো ওভারটা। সাবলীলভাবে খেলতে থাকা ডাচরা প্রথম ১০ ওভার শেষে করেছে ২ উইকেটে ৪৭ রানে। তৃতীয় উইকেটে বারেসি-কলিন অ্যাকারমান গড়েছেন ৬৮ বলে ৫৯ রানের জুটি। বারেসিকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৪ তম ওভারের চতুর্থ বলে ডাচ ব্যাটার তুলে মারতে গেলে বল সোজা ওপরে উঠে যায়। আকাশে ভেসে থাকা বল সহজেই তালুবন্দী করেছেন সাকিব আল হাসান। ৪১ বলে ৮ চারে ৪১ রান করেন বারেসি। 


বারেসি আউট হওয়ার এক ওভার আরেকটি উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৫ তম ওভারের চতুর্থ বলে সাকিবকে সুইপ শট খেলতে যান অ্যাকারমান। টপ এজ হওয়া বল শর্ট ফাইন লেগে ধরেছেন মোস্তাফিজ। ৩৩ বলে ১ চারে ১৫ রান করেন অ্যাকারমান। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ডাচদের স্কোর হয়েছিল ৪ উইকেটে ৬৩ রান।


শেয়ার করুন