২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:৩৯:০৩ অপরাহ্ন
মোহনপুরের ধোরশা ইউনিয়নে ভূমি কর্মকর্তা না থাকায় ভোগান্তি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
মোহনপুরের ধোরশা ইউনিয়নে ভূমি কর্মকর্তা না থাকায় ভোগান্তি

রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার ৬নং জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা ভুমি অফিসে দীর্ঘদিন যাবত ধরে ইউনিয়ন  ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা না থাকায় জনসাধারণের ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে । ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা না থাকায় কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। লোকজন ভুমি সংক্রান্ত কাজ নিয়ে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ধোরশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে শুধু অফিস সহকারী কে বসে থাকতে দেখা যায়, উপ-সহকারী ভুমি সপ্তাহে ২ দিন করে অফিসে বসে বলে জানা যায়।ফলে ভূমি সেবা থেকে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনীর লোক হয়রানি ও বঞ্চিত হচ্ছে।

নওনগর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আলামিন বলেন,ধোরশা তফসিল অফিসে প্রায় জনসাধারণেরা খাজনা খারিজের জন্য এসে ভুমি উপ-সহকারী না থাকার কারনে হয়রানির স্বীকার হয়।

নওনগর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু বাক্কার বলেন,এলাকার দরিদ্র শ্রেনীর লোকজন জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকেন।যেহুতু জমির খাজনা খারিজ না থাকলে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত একটি বড় বাধা হয়ে দাড়াঁয়।

ধোরশা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আলামিন বলেন,এই ধোরশা ইউনিয়ন ভুমি অফিস বহু বছরের পুরাতন,ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্য গুলো এখানে হয়ে থাকতো,এখন এই অফিসে উপ-সহকারী নিয়মিত ভাবে বসতে দেখা যায় না।তিনি আরও বলেন,আমরা আশা করি এবং মনে করি এলাকার লোকজনের উপকার স্বার্থে দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই সমস্যা সমাধান করবে,এবং বিষয়টি সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি।

এই বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মিথিলা দাস বলেন,খাজনা খারিজ এখন অনলাইনে করা হয়,এবং আমি নিয়মিত সেই কাজ গুলোকে তদারকি করে থাকি।ধোরশা তফসিল অফিসের সকল কাজ নিয়মিত ভাবেই চলে আসছে, আজ পর্যন্ত কোন কাজ না হয়ে পড়ে আছে এমনটি দেখি নাই।


শেয়ার করুন