 
                         
                    
                                            
                        
                             
                        
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-ভাঙ্গা-যশোর ভায়া লোহাগড়া-নড়াইল রেল লাইনের লোহাগড়া অংশের কাজের প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। তবে রেলপথের লোহাগড়া অংশে মধুমতি নদীর উপর নির্মিত ‘মধুমতি রেলসেতু’ নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১২শ’ ২১ মিটার দীর্ঘ মধুমতি নদীর নির্মিত এই রেলসেতু বাংলাদেশের ৪র্থ বৃহত্তম রেলসেতু। ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অধীন পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প দেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের অন্যতম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার এই রেল লাইন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার। গত শুক্রবার রেলপথের নারান্দিয়াস্থ ‘লোহাগড়া রেলস্টেশনে’ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় লোহাগড়া-নড়াইল অংশে রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে, স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। রাতদিন চায়না ইঞ্জিনিয়ারদের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে দেশি-বিদেশী নির্মাণ শ্রমিকরা দুই শিফটে নির্মাণ কাজ করছে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর এই এলাকায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল, বাণিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া ও শিল্পাঞ্চল খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের রেলপথে স্বল্প খরচে যোগাযোগ, এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই রেল লাইন। শুধু যাত্রী নয় পণ্য পরিবহন খরচও কমে যাবে। সময়ও কম লাগবে। এতে বদলে যাবে এলাকার আর্থসামাজিক চিত্র।
নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, রেল লাইন নির্মাণকাজের জন্য জেলায় ৪০৬ দশমিক ৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। নড়াইল-লোহাগড়া অংশের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে। ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। এই কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুন মাসে। দীর্ঘ এই রেলপথে স্টেশন হবে ২০টি। ৯টি জেলার ওপর দিয়ে যাবে এই রেল লাইন। ব্রডগেজ এই রেললাইনে থাকবে ৬৬টি বড় সেতু, ২৪৪টি ছোট সেতু ও ৩০টি লেভেল ক্রসিং গেট। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা-নগরকান্দা-মুকসুদপুর-মহেশপুর-কাশিয়ানী-লোহাগড়া-নড়াইল ও জামদিয়া হয়ে যশোরের রুপদিয়ায় গিয়ে মিলবে এই রেল লাইন।

