বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠেছে। এ কারণে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ঘুমধুম-তুমব্রু, জলপাইতলী সীমান্তের ২৪৩ জন সবাই ঘরে ফিরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে কোনো গোলাগুলি, মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বুধবার দুপুরের পর থেকে আজকে সকাল পর্যন্ত কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে ওঠায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন ঘরে ফিরে গেছেন। এদিকে ভয়-আতঙ্কে দূরদূরান্তে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে যাওয়া লোকজনও ফিরতে শুরু করেছেন। সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারে দোকানপাট খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। লোকজনের আনাগোনাও বেড়েছে।
অপরদিকে বাইশফাঁড়ি সীমান্তপথে অবৈধ অনুপ্রেবেশকারী ৫ সদস্যের উপজাতি একটি পরিবারকে পুশব্যাক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় সীমান্তবাসীরা। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনো স্বীকার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলে আসছিল। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের ৩টি ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। সংঘাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ৩২৭ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য।