২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:২২:২৩ অপরাহ্ন
তারাবির নামাজ রমজানের প্রাণ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৩-২০২৪
তারাবির নামাজ রমজানের প্রাণ

পবিত্র রমজানের বিশেষ ইবাদত তারাবির নামাজ। আরবি তারবিহা শব্দের বহুবচন তারাবি, যার অর্থ বিশ্রাম করা, আরাম করা। যেহেতু এই নামাজে চার রাকাত পরপর বিশ্রাম নেওয়া হয়, তাই এর নাম তারাবি। পবিত্র রমজান মাসে এশা ও বিতরের নামাজের মাঝে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, শরিয়তের পরিভাষায় এই নামাজকেই তারাবির নামাজ বলা হয়। মূলত তারাবির নামাজ পবিত্র রমজান মাসের প্রাণ।


তারাবির নামাজ ২০ রাকাত আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। পুরুষদের জন্য জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কেফায়া। যদি মহল্লার কিছু লোক জামাতের সঙ্গে আদায় করে নেয়, তাহলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। নতুবা সবাই গুনাহগার হবে। কোনো ব্যক্তি যদি ঘরে একাকী তারাবি আদায় করে, তাহলে তার তারাবির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে; তবে জামাতের সওয়াব থেকে সে বঞ্চিত হবে।


হাদিসে তারাবির নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি।


যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে দিনে রোজা পালন করবে এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এমন পবিত্র হবে, যেমন নবজাতক শিশু মায়ের গর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ি)


শেয়ার করুন