রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে দুই ইমো হ্যাকারকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে একই মামলায় সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।
রায়ের পর মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বেগম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম জানান, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি এই মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার বোনজামাই জাকির হোসেন সৌদি আরব প্রবাসী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে তিনি সামাজিক মাধ্যম ইমোতে যোগাযোগ করতেন।
২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো হ্যাক করে ফাতেমাকে তার বিপদের কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আবদুল মালেক অনেক খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে নিবন্ধন করা।
তাই বিষয়টি তিনি র্যাবকে জানালে প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে পাঁচজনকে আটক করে র্যাব। এরপর মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিনমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর একটি ধারায় অভিযুক্ত দুজনকে একই ধরনের সাজা দিয়েছেন আদালত।
একই মামলার দুটি ধারায় মোট ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয় আসামিদের। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালতের বিচারক।