রাজশাহী বিভাগে এক কামড়ায় বসবাস করে ১৩ দশমিক ৫৩ পরিবার। অন্য বিভাগের তুলনা কম আছে এই সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি বসবাস ঢাকা বিভাগে। ঢাকা বিভাগের শহরাঞ্চলে এক কামরায় বসবাস করে সর্বোচ্চ খানা বা পরিবার, যা শতাংশের হিসাবে ৪০ দশমিক ২৫। এছাড়া সব বিভাগেই ২ কামরায় বসবাসকারী পরিবারের হার সর্বোচ্চ; যা ৪৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ হার পল্লী অঞ্চলে ৪৪ দশমিক ১১ শতাংশ ও শহরে ৪২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএসের) সর্বশেষ আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে ৫৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ খানার প্রধান বসতঘরের কাঠামো কাঁচা, ২৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ পাকা এবং ১৯ দশমিক ৫২ শতাংশ আধাপাকা। পল্লীতে ৬৯ দশমিক ৪২ শতাংশ খানার বসতঘরের কাঠামো কাঁচা। শহরাঞ্চলে প্রধান বসতঘরের কাঠামোর মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক পাকা, যা ৪৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকার মোট বসতঘরের কাঠামোর মধ্যে পাকা ৪০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা চট্টগ্রামে ২৭ দশমিক ৪৮, খুলনায় ২৫ দশমিক ৪৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ১১, রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৫৩, বরিশালে ১৩ দশমিক ১৭, ময়মনসিংহে ৫ দশমিক ৭৫ ও রংপুরে ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
খানায় পৃথক রান্নাঘর, খাবার ঘর (ডাইনিং) ও বসার কক্ষ/ড্রয়িংরুম/লিভিংরুম সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদান করা হয়েছে। প্রদত্ত উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের ৭৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ নাগরিকের পৃথক রান্নাঘর আছে; তা পল্লী এলাকায় ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৮০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, পৃথক রান্নাঘর আছে এরূপ খানার হার সর্বোচ্চ খুলনায় ৯১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন রাজশাহীতে ৫৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
অন্যদিকে দেশের মোট খানার ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশের পৃথক খাবার ঘর (ডাইনিং) এবং ১২ দশমিক ২৫ শতাংশের পৃথক বসার কক্ষ/ড্রয়িংরুম/লিভিংরুম রয়েছে।
সব বিভাগে এককভাবে রান্নাঘর ব্যবহারের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি; এ হার বরিশাল বিভাগে সর্বাধিক (৯৬ দশমিক ১০ শতাংশ)। অন্যদিকে যৌথভাবে রান্নাঘর ব্যবহার ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক (২৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ)।
৭৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ খানা নিজস্ব মালিকানাধীন বাসগৃহে বসবাস করে। এ হার পল্লী এলাকায় ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৫০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, নিজস্ব মালিকানাধীন বাসগৃহে বসবাসকারী খানার হার সর্বোচ্চ রংপুরে ৯১ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ঢাকায় ৫২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বাসগৃহের জমির মালিকানা সংক্রান্ত উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ৭১ দশমিক ১৪ শতাংশ খানার বাসগৃহের অবস্থান নিজস্ব জমিতে। এছাড়া ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ খানার বাসগৃহের অবস্থান অন্যের জমিতে, ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ যৌথ মালিকানাধীন জমিতে এবং ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ খানার বাসগৃহ সরকারি/খাস জমিতে অবস্থিত। ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ভাড়া বাড়িতে এককভাবে বসবাস করে।