০২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন
গচ্চা ৩৯ কোটি টাকা ঋণ পায়নি বিএসসি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৬-২০২৪
গচ্চা ৩৯ কোটি টাকা ঋণ পায়নি বিএসসি

চুক্তি সইয়ের ১ বছরেও ‘অজ্ঞাত উৎস’ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ বুঝে পায়নি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। ওই ঋণ পেতে গিয়ে উলটো প্রায় ৩৯ কোটি টাকা গচ্চা গুনছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

ওই পরিমাণ টাকা গচ্চা যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘এআইএস মেরিন অ্যান্ড অফশোর পিটিআই লিমিটেড’ থেকে এই ঋণ পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে বিএসসি কর্তৃপক্ষ।

তবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যে ‘অ্যাগ্রিমেন্ট ফর জেনারেল ইউজ’ নামক চুক্তি হয়েছে তা এখনো বাতিল করেনি শিপিং করপোরেশন। এদিকে গত ১ বছরে বিএসসির প্রায় ৩৯ কোটি টাকা গচ্চা যাওয়ার দায় এখন কেউ নিতে রাজি হচ্ছে না।

এআইএস মেরিনকে ১৩ জুনের মধ্যে ওই টাকা বিএসসিকে পরিশোধ করতে চিঠি দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই টাকা বিএসসির অ্যাকাউন্টে জমা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। আদৌ ওই টাকা পাওয়া যাবে কিনা-তা নিয়ে সন্দিহান বিএসসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, ওই ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসাবে এইচএসবিসি ব্যাংক বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একটি শাখায় গত বছরের জুলাই থেকে ৫৬৫ কোটি টাকা ‘ক্যাশ এসক্রো অ্যাকাউন্ট অ্যাগ্রিমেন্টে’র আওতায় ব্লক করে রাখা ছিল।

চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই টাকা নিজেদের আয়ত্তে নিতে সক্ষম হয়েছে বিএসসি কর্তৃপক্ষ। এখন ওই টাকা বিদেশি ব্যাংকে জামানত রাখতে বলছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি দেওয়া এক প্রস্তাবে যুক্তরাজ্য, সিংগাপুর বা সুইজারল্যান্ডের চারটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করে এর কোনো একটিতে ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা দিতে বিএসসিকে প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও ওই প্রস্তাবে শনিবার পর্যন্ত সায় দেয়নি বিএসসি।

এআইএস মেরিন থেকে ১ বছরে ঋণ না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফা কামাল শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ওই কোম্পানিটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, তাদের সক্ষমতা দেখব এবং সমীক্ষা করব। তারপর তাদের সঙ্গে ঋণ চুক্তিতে যাওয়ার চিন্তা করব। দেশের স্বার্থ এবং ওই ঋণ যদি নিরাপদ না হয় তাহলে আমরা ওই ঋণ নেব কেন?

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ক্যাশ এসক্রো অ্যাকাউন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট’র আওতায় ৫৬৫ কোটি টাকা বিএসসির নামে এফডিআর করেছিল। সম্ভবত ওই টাকা বিএসসি ফেরত পেয়েছে। এফডিআর করায় সেখানে সুদও পেয়েছে। এজন্য এক টাকাও নষ্ট হয়নি বিএসসির।

শেয়ার করুন