০৭ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ০৭:২৬:৫২ অপরাহ্ন
খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে: এ্যানী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৭-২০২৪
খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে: এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। জনগণ মুক্তি পাবে। সরকার মামলা ও সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখল করে আছে। খালেদা জিয়া অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। তাকে স্লো পয়জিং দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর দায়ভার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে।


সোমবার বিকাল ৪টায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


আগামীতে আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, আন্দোলনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে দেশের বুকের ওপর দিয়ে রেললাইনের অবৈধ চুক্তি হতো না। দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন হতো না। স্বৈরশাসন হতো না। তিনি মুক্ত থাকলে সার্বজনীন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকতো।


১৯৭২ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের গোলামি চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ৫২ বছর পর সে ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুন ভারতের সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে। এর ফলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব চুক্তি-স্মারকের মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার অংশে পরিণত করা হয়েছে, যা খুবই বিপজ্জনক এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। এটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জোটনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থি। এসব সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নিরাপত্তা কৌশলগত ‘বাফার স্টেট’ হিসেবে ভারতকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চান। এর ফলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটিলতার মধ্যে জড়িয়ে পড়বে।


এ্যানী বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ আমাদের সামনে নেই।


বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপি (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।


সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল।


খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, বেগম রেহানা ঈসা প্রমুখ।


শেয়ার করুন