২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন
রাজশাহী বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ গ্রেপ্তার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৭-২০২৪
রাজশাহী বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ গ্রেপ্তার

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা ও ১৭টি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।


শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবীবুর রহমান বলেন, বাঘা থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে বাঘা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


গত ২২ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে পৌর মেয়র আক্কাছের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় পৌর মেয়রের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়। এতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে গত ২৬ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর পর থেকে আক্কাছ আলী ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন।


গত ২৩ জুন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে বাঘা থানায় আক্কাছ আলীকে প্রধান আসামি করে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার দুই নম্বর আসামি পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফা, শফিউর রহমান শফি, রফিকুল ইসলাম, জহুরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে মেরাজ, মারুফ, তরঙ্গ, শাজামাল, নাসির, মতিউর, মোস্তফা পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।


বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবুল হত্যায় পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। এই মামলায় মেয়রের ভাগনে ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা মেরাজুর ইসলাম মেরাজসহ ইতিমধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


অপর দিকে বাজুবাঘা ইউনিয়নের তেপুকুকুরিয়া গ্রামের আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ ও দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা করেন। এই নালিশি মামলায় থানার মামলার বাদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টুকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন