২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:২০:৪৭ অপরাহ্ন
সরবরাহ স্বাভাবিক, তবু চালের দাম চড়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৮-২০২৪
সরবরাহ স্বাভাবিক, তবু চালের দাম চড়া

রাজধানীর বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখনো কমেনি। উলটো সপ্তাহের ব্যবধানে দাম আরো বেড়েছে। দাম বাড়ার এ তালিকায় আরো রয়েছে: চিনি, কাঁচা মরিচ ও কোনো কোনো সবজি। তবে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম কমেছে। 



ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে এখন সব ধরনের নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সরবরাহ সমস্যায় বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে কোনো কোনো পণ্যের দাম কমলেও চালসহ কিছু পণ্যের দাম এখনো বাড়তি। এসব পণ্যের মিলার ও পাইকারি পর্যায়ে তদারকি করলে দাম কমে আসবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, নিত্যপণ্যের বাজারে যে সিন্ডিকেট হয় তা মিলার ও পাইকারি পর্যায়েই হয়ে থাকে। তাই এখানে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।   


গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার ও নিউ মার্কেটসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারিমানের চাল পাইজাম/লতা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সপ্তাহের ব্যবধানে চালের মানভেদে কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেশি। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) গতকাল তাদের বাজারদরের প্রতিবেদনে চালের দাম বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, চালের বর্তমান এই দর গত বছরের এই সময়ের তুলনায়ও বেশি। গত এক বছরের ব্যবধানে দেশের বাজারে মোটা চাল ৯.১৮ শতাংশ, মাঝারি মানের চাল ৭.৪৮ শতাংশ ও সরু চাল ৪.৪৮ শতাংশ বেড়েছে।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এখন চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। সারা দেশে স্বল্প মূল্যে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া, সরকারের গুদামেও চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারের গুদামে মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৮১৪ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চাল মজুত রয়েছে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৪৬ টন। আর গমের মজুত ৪ লাখ ২০ হাজার ৪০১ টন।


শেয়ার করুন