১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন
ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের যত ‘গোপন অপারেশন’
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৯-২০২৪
ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের যত ‘গোপন অপারেশন’

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ের হত্যার পরেই অভিযোগের তীর উঠেছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। ইরান সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলকে ‘কঠিন শাস্তি’ দেওয়ার হুমকিও দেয়।


ইসরায়েলের তরফে সরাসরি কোনো বক্তব্য না এলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তার দেশ সাম্প্রতিক সময়ে তার ‘শত্রু’দের চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়ার মতো আঘাত হেনেছে।


বিবিসি-র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন হানিয়ের হত্যার পরেই বলছিলেন, ইসরায়েলই হানিয়েকে হত্যা করেছে বলে ধরেই নেওয়া যেতে পারে।


অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগে বহুবার এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ইরানের অভ্যন্তরে মোসাদ কোন পর্যায়ের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এবং গত কয়েক বছরের ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই আন্দাজ পাওয়া যায় যে ইরানে অতি উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত ব্যক্তিদেরও তারা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অপারেশন চালানোর জন্য।


 

ইসরায়েলের সেই সব অপারেশনের মধ্যে যেমন রয়েছে খুন, তেমনই রয়েছে সাইবার আক্রমণ এবং ড্রোন দিয়ে হামলা। এইসব হামলার বেশ কয়েকটির মধ্যে একটা যোগসূত্র দেখা গেছে, তা হল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।


ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে যে তেহরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে, যার ফলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তে পারে। ইরান সামরিক পরমাণু কর্মসূচির কথা অস্বীকার করলেও তারা বলে যে বেসামরিক পরমাণু শক্তির উন্নয়নের অধিকার তাদের আছে।


দেখে নেওয়া যাক ইরানের মাটিতে মোসাদ কী কী ঘটনা ঘটিয়েছে গত প্রায় দেড় দশকে।


হত্যা


এমন একাধিক ইরানি বৈজ্ঞানিক, বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোরের গুরুত্বপূর্ণ অফিসার গত প্রায় দেড় দশকে খুন হয়েছেন, যেগুলোর পিছনে ইসরায়েল তথা মোসাদের হাত ছিল বলে দাবি করে ইরান।


• জানুয়ারি ২০১০


তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাসুদ-আলি-মোহাম্মদী তার মোটরসাইকেলে রাখা রিমোট পরিচালিত বোমার আঘাতে নিহত হন। বাড়ির কাছেই ওই ঘটনা ঘটেছিল।


বিবিসির ওয়েবসাইটে ১২ই জানুয়ারি, ২০১০ সালের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছিল। সেখানে এও লেখা হয়েছিল যে প্রাথমিকভাবে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, তিনি একজন পরমাণু বিজ্ঞানী ও সরকারের সমর্থক ছিলেন।


তবে পরবর্তী প্রতিবেদনগুলোতে লেখা হয় যে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না এবং বিরোধীদের তোলা একটি পিটিশনে তিনি সইও করেছিলেন।


ঠিক এক বছর পরে, বিবিসির ইংরেজি ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল ‘১০ই জানুয়ারি ইরান ঘোষণা করেছে যে অধ্যাপক মোহাম্মদীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারা দশজন ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।”


ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ তখন দাবি করেছিল যে ধৃতরা ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন এটা তারা স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন। তবে বিবিসি এটাও লিখেছিল, সেই সব স্বীকারোক্তি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয় নি।


শেয়ার করুন