চোট থেকে সেরে উঠার পর আরও আগ্রাসী রূপে দেখা গেছে লিওনেল মেসিকে। পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এমএলএসে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে তাই দর্শকদের নজর ছিল মেসির দিকেই।
এদিন অবশ্য কোনো গোল পাননি রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তবে তাতে আটকে থাকেনি ইন্টার মায়ামির জয়। ২-১ গোলের জয় নিয়েই প্রথম প্লে-অফে জয় তুলেছে মায়ামি। তাতে এমএলএসে তিন ম্যাচের প্লে-অফ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে মেসির দল।
ঘরের মাঠে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির জয়ে গোল দুটি করেন লুইস সুয়ারেজ ও জর্দি আলবার। নিজে গোল না পেলেও আলবার করা ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটিতে অবশ্য আছে মেসির অবদান। মেসির অ্যাসিস্ট থেকেই জয় নিশ্চিত করেন আলবা।
চেজ স্টেডিয়ামে খেলা শুরুই হয় লুইস সুয়ারেজের গোলে। দুই মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে গোল করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। এরপর প্রতিপক্ষের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছে তারা। ৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির শট আটলান্টা গোলরক্ষক ব্রাড গুজান ঠেকিয়ে না দিলে ব্যবধান তখনই বাড়াতে পারত মায়ামি।
সেই আক্রমণের ধারাতে ২৬ মিনিটে আবারও দুর্দান্ত এক শটে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু এবারও আটলান্টা গোলরক্ষক গুজান প্রতিহত করেন মেসির প্রচেষ্টা। মায়ামি ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও স্রোতের বিপরীতে ম্যাচে ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরায় আটলান্টা। সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পর গোলের খোঁজে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় মায়ামি। ৫২ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মেসি। ৫৬ মিনিটে মেসির তৈরি করে দেওয়া দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ডিয়েগো গোমেজ। তবে ৬০ মিনিটে মেসি-জর্দি আলবা যুগলবন্দীতে মায়ামি পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল।
তিন ম্যাচের প্লে অফের দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়াবে ৩ নভেম্বর ভোর ৫টায় মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে। আর ১০ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে মায়ামি ও আটলান্টা।