চট্টগ্রামের রাউজানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওমানপ্রবাসী ব্যবসায়ীর বাড়ি পোড়ানো মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মুহাম্মদ আজিজুল হক (৫৫) নামের এক সন্ত্রাসী। আজিজুল বর্তমানে নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচয় দেন।
আজিজুলের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ১২টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এ ছাড়া দুটি অস্ত্র মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকার সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব চট্টগ্রাম-৭–এর একটি দল। পরে একই দিন বিকেলে রাউজান থানায় তাঁকে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
দলীয় সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার আজিজুল ডাবুয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ও সাবেক যুবদল নেতা ছিলেন। তিনি ডাবুয়া ইউনিয়নের উত্তর হিংগলা গ্রামের বাসিন্দা। তবে একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। ২০০৬ সালের পর মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে পালিয়ে যান তিনি। গত ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর তিনি দেশে এসে আবারও ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টায় ছিলেন বলে অভিযোগ।
ওমানপ্রবাসী ইয়াসিন চৌধুরীর করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৫০ থেকে ৬০ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে আজিজুল হক ইয়াসিন চৌধুরীর বাড়িতে লুটপাট করার পর আগুন দেন। এ সময় একটি ব্যক্তিগত গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
থানা-পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আজিজুল হকের বিরুদ্ধে ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার চিকদাইরের বাসিন্দা ওমানপ্রবাসী ব্যবসায়ী ইয়াসিন চৌধুরীর দুটি বাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ আছে। এ মামলায় তিনি প্রধান আসামি। এ ছাড়া অস্ত্র আইনে তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। তবে বিগত সময়ে আজিজুলের বিরুদ্ধে হত্যাসহ মোট ১২টি মামলা ছিল।
রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, আজিজুল হকের বিরুদ্ধে বাড়ি পোড়ানোসহ আরও দুটি অস্ত্র মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। তাঁকে র্যাব হস্তান্তরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।