২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন
‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১১-২০২৪
‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে

বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।


কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ, মেহেদী হাসান, রাহাত ইমাম নোমান, মাসুদ, ইব্রাহিম, আলেক ফরাজী, সাইফুল ইসলাম, আবু বক্কর, রিংকু, নিজাম উদ্দিন, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, আফজাল মন্ডল, আব্দুর রহিম, নুরনবী, শহিদ ও কোহিনুর আক্তার।


এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাহফজুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।


এ ছাড়া অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীন গ্রেফতারের পর বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে আদালতকে অবহিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাকে আদালতে হাজির করতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন তিনি। পরে আদালত সুস্থতা সাপেক্ষে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।


এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের সংগঠনটি।


পরে এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীনসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।


মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীন, সমর্থক অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানস, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ (৪৭), মাহবুবুল আলম চৌধুরী (৫৬), মো. মেহেদী হাসান (৩৪), অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নেত্রকোনার আহ্বায়ক মো. রাহাত ইমাম নোমান (৩৩), মো. মাসুদ (৩৭), ইব্রাহিম (২৯), মো. আলেক ফরাজী (৪৪), মো. সাইফুল ইসলাম (৪৮), মো. আবু বক্কর (৪৯), মো. রিংকু (২১), মো. নিজাম উদ্দিন (৩২), সৈয়দ হারুন অর রশিদ (৬০), মো. আফজাল মন্ডল (৪২), আব্দুর রহিম (৩০), নুরনবী (৪৫), মো. শহিদ (২৮) ও মোছা. কহিনুর আক্তার (৫০)।


মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের ব্যানারে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর জন্য শাহবাগ মোড়ে জমায়েত হয়। আসামিরা শাহবাগ মোড়ে থাকা ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে অনুমান বিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।


শেয়ার করুন