এক সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন সাব্বির রহমান। দুর্দান্ত সব শটে মুগ্ধতা ছড়াত তার ব্যাট। তবে সে সব এখন অতীত। সাব্বির রহমান যেন নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছেন। কদর কমেছে ঘরোয়া ক্রিকেটেও। সবশেষ মৌসুমে তো বিপিএলে দলও পাননি। তবে আশার কথা এবার পেয়েছেন। আসন্ন বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিট্যালসের হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। আর সেই মাঠে নামাটা রাঙাতে চান তিনি। সেই সঙ্গে কড়া নাড়তে চান জাতীয় দলের দরজায়।
বিপিএলে পারফর্ম করে নজর কাড়তে সাব্বির অনুশীলনটা সেরেছেন রাজশাহীতে। আর সেই অনুশীলন করতে গিয়েই টের পেয়েছেন ঢাকার বাইরে অনুশীলনের কতটা ঘাটতি আছে। তাই মিরপুরে অনুশীলনের ফাকে ঢাকার বাইরেও অনুশীলন সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সাব্বির বলেন, ‘(জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে) বিষয়টা হচ্ছে আপনি কোথায় অনুশীলন করতে চান? যদি মিরপুরে করেন, তাহলে এটা অসম্ভব। কারণ এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকে, অনেক ব্যস্ততা থাকে। এই সুবিধা যদি সব বিভাগে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, যারা ত্রিশ জনের বাইরে থাকবে বা পাইপলাইনের আশপাশে থাকবে, তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে। মেশিন বা (কংক্রিট) স্ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে।’
সাব্বির আরও বলেন, ‘আমি নিজের খরচে স্ল্যাব কিনেছি, মেশিন ব্যবহার করেছি। উদীয়মান যারা আছে, তাদের হয়তো সেই সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। এই (অনুশীলন সুবিধার) পরিকল্পনা সব বিভাগের জন্য করা উচিত। যেন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে যে কেউ দলে কামব্যাক করতে পারে।’
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর বেশ কয়েক বছর জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন সাব্বির। কিন্তু ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে সে অর্থে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি তার। বয়সও এরই মধ্যে ৩৩ পেরিয়েছে। তবে এখনও আশা ছাড়ছেন না সাব্বির।
বলেন,‘(জাতীয় দলে ফেরার জন্য) তৈরি তো অবশ্যই হচ্ছি। বয়স তো এখনও বাকি আছে আমার। চেষ্টা করছি কামব্যাক করার। এজন্যই মাঠে আসছি, অনুশীলন করছি। বিপিএলে সুযোগ পেয়েছি, বাইরের দেশে খেলতে যাচ্ছি। আশা তো সবাই করে। আমার পরিবারও করে, আমিও করি। আশাটা কীভাবে পূরণ হবে, সেটা ভালো খেলার পরে বোঝা যাবে। তো চেষ্টা করব ভালো খেলে আবার দলে ফেরার জন্য।’
সম্প্রতি লংকা টি-টেন লিগ খেলে এসেছেন সাব্বির। সেখানেই সেই অর্থে কিছু না করতে পারলেও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি। বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই বেড়েছে। যেহেতু একটা ভালো টুর্নামেন্ট (লঙ্কা টি-টেন) গেছে। আমার মনে হয়, যতটুকুই খেলতে পেরেছি, আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেয়েছি। টি-টেন লিগের খেলাটা বিপিএলে অনেক বড় কাজে দেবে। সেখানে যে দায়িত্বে খেলেছি, এখানে ৫-৬ নম্বরে হয়তো খেলব, অনেক বড় দায়িত্ব হবে আমার জন্য। আত্মবিশ্বাসটাও ভালো হবে।’