ফিলিস্তিনের গাজা থেকে শুরু করে ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুথিদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে ইসরাইল। আত্মরক্ষার্থে এমন পরিস্থিতিতে গত অক্টোবরে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘থাড’ পেয়েছে তেল আবিব। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলোর একটি।
এবার জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ভোরে ইয়েমেন থেকে আসা হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে ঠেকাতে প্রথমবারের মতো ‘থাড’ ব্যবহার করেছে ইসরাইল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
‘থাড’ বা টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম, হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি আটকানোর চেষ্টা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফুটেজে দেখা গেছে ‘থাড’ সিস্টেম একটি ইন্টারসেপ্টর চালু করছে।
ভিডিও ক্লিপটিতে একজন মার্কিন সৈন্যকে বলতে শোনা যায়, আমি আঠারো বছর ধরে এটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
আইডিএফ বলেছে, হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা ভূপাতিত করে দেওয়া হয়েছে। ইসরাইলি বা আমেরিকান সিস্টেম করা হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করেনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
‘থাড’ ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক রাডার। রয়েছে শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট বা যুদ্ধবিমান ধ্বংসের জন্য শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। থাড নিজের ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে আসা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিমেষেই ধ্বংস করতে পারে। এর সফলতার হারও খুব বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের তথ্যমতে, দেশটির হাতে বর্তমানে থাডের সাতটি ‘ব্যাটারি’ রয়েছে। প্রতিটি ব্যাটারিতে রয়েছে সাতটি করে ট্রাক। প্রতিটি ট্রাকে আবার যুক্ত করা আটটি ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া প্রতিটি ব্যাটারিতে একটি শক্তিশালী রাডার ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ও যোগাযোগব্যবস্থা রয়েছে। এ সাতটি ব্যাটারির একটি ইসরাইলে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।