বাজারে ডলারের চাহিদা বেশি। কিন্তু সরবরাহ কম। সংকটের কারণে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম। এতে বৈদেশিক মুদ্রানির্ভর অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে নেতিবাচক অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে, যা অর্থনীতিকে প্রবল চাপে ফেলেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারও ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম আরও এক দফা বেড়েছে। এই দফায় ডলারের দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা। আমদানির জন্য ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছে প্রতি ডলার বিক্রি করছে ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা দরে।
গত বছরের এই সময়ে আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম বেড়েছে ৯ টাকা ৬৫ পয়সা। এই সময়ে সমান হারে টাকার মানও কমেছে। টাকার মান কমায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। অপরদিকে বেড়ে যাচ্ছে আমদানি ব্যয়। এতে মূল্যস্ফীতির হারও বাড়ছে।
ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সমন্বয় করে অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার দামও বাড়ানো হয়েছে। আগে ডলারের নিচে নেমে এসেছিল ইউরো। বৃহস্পতিবার ইউরোর দাম আবার ডলারের সামান্য উপরে উঠেছে। প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হলেও ইউরো বিক্রি হয়েছে ৯৪ টাকা ৬০ পয়সা দরে।
এদিকে ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের তীব্র সংকট চলছে। এর ফলে ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ব্যাংকে নগদ ডলার সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংকে ৯৭ থেকে ৯৯ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে।
ডলারের জোগান বাড়াতে ব্যাংকগুলো এখন রেমিট্যান্স সংগ্রহে তীব্র প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তারা বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে রেমিট্যান্সের প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০০ টাকায়ও কিনছে। ওই ডলার তারা ৬ মাস মেয়াদী আগাম বিক্রি করছে ১০২ টাকায়। ব্যাংকগুলো রপ্তানি বিল কিনছে ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৬০ পয়সা দরে। ৯৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা দরে কিনছে রেমিট্যান্স।